একুশে সংবাদ: ইতিমধ্যেই উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এই বৃষ্টি অব্যহত থাকতে পারে। তবে উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ আগামীকাল রবিবার সকালে উড়িষ্যা উপকূলে গিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর রাতেই তা নিম্নচাপ আকারে বাংলাদেশের উপকূলে আসতে পারে।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘এই ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে ওঠার আগেই মূলত দুর্বল হয়ে পড়বে। আর তা আমাদের দেশের উপকূলে আসতে আসতে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর প্রভাবে ইতিমধ্যে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। যা আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যহত থাকতে পারে। তবে উপকূলীয় এলাকাসমূহে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। ঝড়ো হাওয়ায়ও বয়ে যেতে পারে।’
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্যও বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল এবং পটুয়াখালী অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিক দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে, সেই সঙ্গে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
একুশে সংবাদ//ক.ক//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :