৩য় ধাপের পৌরসভা নির্বাচন দিন গড়িয়ে রাত হলেও ভোট গ্রহণ চলছে। এই ভোট গ্রহন টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে হচ্ছে। কেন্দ্রের ভেতর এখনো শতাধিক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রদানের জন্য বাইরে অপেক্ষা করছেন। ভোটাররা বলছেন বাড়ির কাজ বাদ রেখে সারা দিন শেষে, রাতে ভোট দিতে পেরে আনন্দ পাচ্ছি।
রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ঘাটাইল পৌরসভায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কিন্তু ভোট নিতে ধীরগতি হওয়ায় সময়সীমা বাড়ানো হয়।
দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট প্রদান করতে না পারায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ভোটাররা বলছেন, ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট হলে এত ভোগান্তি পোহাতে হতো না তাদের। ইভিএমের মাধ্যমে আগে কোনো অভিজ্ঞতা না থাকা এবং হাতের আঙুলের ছাপ না আসায় ভোট প্রদানে দেরি হচ্ছে।
এই বিষয়ে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ঘণ্টা খানেকের মধ্যে ভোট দান শেষ করা হবে।
নির্বাচন-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ইভিএমের পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণে ধীরগতি হয়েছে। এ ছাড়া দীর্ঘক্ষণ মেশিন চালু থাকায় সেটি স্লো (ধীরগতি) হয়ে যাচ্ছে।
ঘাটাইলের পশ্চিমপাড়া এলাকার ভোটার রোজিনা বলেন, সকাল ১০টায় লাইনে এসে দাঁড়িয়েছি। অনেক ভোটার এবং মেশিন নষ্ট থাকায় ভোট দিতে দেরি হয়েছে। এতে বাড়ির কাজ বাদ রেখে সারা দিন শেষে রাতে ভোট দিতে পেরে আনন্দ পাচ্ছি।
কেন্দ্রে আসা নারী ভোটার মরিয়ম বলেন, জীবনে প্রথম রাতে ভোট দিলাম। কারণ, সারা দিন লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এমন ভোট আগে কখনো দেখি নাই।
৬ নং কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা শুকুর আলী বলেন, বিকেল ৩টায় আসছি। রাত হলেও এখনো ভোট দিতে পারি নাই। যত রাতই হোক, ভোট দিয়েই আমি যাবো।
এই বিষয়ে, তাহফিজুল কোরআন এবতেদায়ি নুরানি মাদরাসা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান খান বলেন, ইভিএম মেশিন দীর্ঘক্ষণ চালু থাকায় ঠিকমতো কাজ করছে না। অনেক ভোটারের হাতের আঙুলের ছাপ না আসায় ভোটগ্রহণে দেরি হচ্ছে। কেন্দ্রের বাউন্ডারির মধ্যে যতগুলো ভোটার রয়েছেন, তারা ভোট দিতে পারবেন। যত রাতই হোক, ভোটগ্রহণ চলবে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৩ শতাংশ ভোট গ্রহণ হয়েছে। ভোটগ্রহণ দেরি হলেও ফলাফল প্রকাশ করতে দেরি হবে না বলেও জানান তাহফিজুল কোরআন এবতেদায়ি নুরানি মাদরাসা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান খান।
একুশে সংবাদ/রাফি
আপনার মতামত লিখুন :