AB Bank
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

রাজধানীর যানজট নিরসনে নতুন প্রযুক্তি


Ekushey Sangbad
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
০৭:৪১ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০২১
রাজধানীর যানজট নিরসনে নতুন প্রযুক্তি

ফাইল ছবি

আল-আমিন এম তাওহীদ:  তীব্র যানজটের শহর রাজধানীর ঢাকা। এই যানজট নিরসনে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম ও কার্যকর পদ্ধতি টার্নিং ইয়ার্ডের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে বাংলাদেশ। 

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে পরিচালিত হয়েছে পরীক্ষাটি। বিশ্বের যে কোনো স্থানে এই প্রযুক্তি প্রয়োগ করে অতি অল্প সময়ে থামিয়ে দেওয়া যায় যানজটের চোখকে। দুর্লভ ও বিরল এ প্রযুক্তি করায়ত্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে তার সক্ষমতার প্রমাণ করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে উত্তরায় যানজটের সবচেয়ে ভয়াবহতম স্থান জসীমউদ্দীন মোড়কে টার্গেট করে পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়। প্রথম পরীক্ষাতেই জসীমউদ্দীন মোড়টি যানজটশূন্য হয়ে পড়ে। এরপর টার্নিং ইয়ার্ডের অন্য একটি প্রকরণ তৈরি করা হয় বিমানবন্দর সড়কের দক্ষিণ পাশে কাওলা পয়েন্টে। এখানেও আসে নিরঙ্কুশ সফলতা। এরপর প্রায় তিন বছর ধরে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় টার্নিং ইয়ার্ডগুলোকে। এই দীর্ঘ সময়েও দেখা যায় যে, এগুলোর কার্যকারিতা অক্ষুণ্ন রয়েছে। এতে এই পদ্ধতির কার্যকারিতা ও স্থায়িত্ব সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ভবিষ্যতে নির্মিতব্য টার্নিং ইয়ার্ডগুলোকে আরো দৃষ্টিনন্দন ও গতিশীল করা যাবে। এ পদ্ধতিতে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে ঢাকা শহরের বেশির ভাগ অঞ্চলকে যানজটমুক্ত হবে।

টার্নিং ইয়ার্ড কী? টার্নিং ইয়ার্ড হলো অতি দ্রুততম সময়ে যানজট নিরসনের এক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। রাস্তার ওপরে নির্মিত এই টার্নিং ইয়ার্ডের মধ্য দিয়ে যখন কোনো গাড়ি ঘোরে তখন অন্য কোনো গাড়ির চলাচল বিঘ্নিত হয় না। টার্নিং ইয়ার্ডের বেশ কয়েকটি প্রকরণ রয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো এল ইয়ার্ড, মডারেট টার্নিং ইয়ার্ড, টারশিয়ারি টার্নিং ইয়ার্ড, ফোরথ জেনারেশন টার্নিং ইয়ার্ড, ফিফথ জেনারেশন টার্নিং ইয়ার্ড ইত্যাদি। প্রত্যেকটি প্রকরণ আবার কতগুলো উপবিভাগে বিভক্ত। বিভিন্ন বিষয়াদি বিবেচনায় নিয়ে যেখানে যে প্রকরণ উপযুক্ত সেখানে সেটা তৈরি করা হয়।

যানজটের সমস্যা নতুন কোনো বিষয় নয়। বিজ্ঞানীগণ বিষয়টি টের পেয়েছিলেন আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগেই। ১৮২৫ খ্রিষ্টাব্দে ইংল্যান্ডে যখন বাষ্পচালিত রেলগাড়ির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় তখন থেকেই একটা বিষয় বিজ্ঞানীদের নজরে আসে। তারা লক্ষ করলেন যে, যন্ত্রচালিত একটি বাহনকে চলার সুযোগ দিতে গিয়ে অন্য একটি বাহনকে থামিয়ে রাখতে হয়। মূলত তখন থেকেই যানজটের উত্পত্তি। সেই সময়ের প্রখর মেধাবী ও দূরদর্শী বিজ্ঞানীগণ শঙ্কিত ছিলেন এটা ভেবে যে, তারা এই সমস্যার সঠিক সমাধানে পৌঁছাতে পারবেন কি না। আর যদি এর সঠিক সমাধান করা না যায়, তাহলে ভবিষ্যতে এটা মানব সভ্যতাকে খুব ভোগাবে। তখন থেকেই তারা সচেষ্ট ছিলেন যে, কীভাবে এ সমস্যার সমাধান করা যায়। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই দীর্ঘ সময়ে এসেছে অনেক পদ্ধতিও। কিন্তু কোন পদ্ধতি কতটা কার্যকর কিংবা আদৌ কার্যকর কি না, সে প্রশ্ন রয়ে গেছে আজও।

সড়কপথের যানজট নিরসনের জন্য সারা বিশ্বে বেশ কয়েকটি গতানুগতিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো একমুখী রাস্তা, রিং রোড বা চক্রাকার পথ, গোলচত্বর, উড়ালপথ, পাতালপথ বা সুড়ঙ্গপথ ইত্যাদি। 

একমুখী রাস্তা, রিং রোড বা চক্রাকার পথ, গোল চত্বর-এসব তৈরি করা হয় ভূপৃষ্ঠে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব থেকে কিছুটা উপকার পাওয়া গেলেও যানজট থেকে পুরোপুরি মুক্তি লাভ করা যায় নাই। আর এগুলো সব জায়গায় সব সময় তৈরির বাস্তব অবস্থাও থাকে না। ফলে যানজটের সমস্যাও দূর হয় না।

একুশে সংবাদ / আল-আমিন

Link copied!