AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বাইকে আগুন: সার্জেন্টের দোষ আছে কিনা তদন্ত হচ্ছে


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪:১৩ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
বাইকে আগুন: সার্জেন্টের দোষ আছে কিনা তদন্ত হচ্ছে

করোনা মহামারির আগে স্যানিটারি পণ্যের দোকান ছিল শওকত আলীর। সেই ব্যবসা দিয়েই চলছিল তার সংসার। আয়ও ছিল বেশ ভালো। কিন্তু শওকত আলী করোনার ভয়াল গ্রাসে বন্ধ করতে বাধ্য হন ব্যবসা। গত দেড় বছর ধরে তার ব্যবসা বন্ধ।

এ অবস্থায় সম্প্রতি জীবন-জীবিকার তাগিদে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় নামেন। দেড় বছর ধরে রাইড শেয়ারিং অ্যাপে মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন শওকত আলী। কিন্তু সকালে সেই জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্বলটিতে বিরক্ত হয়ে নিজেই আগুন ধরিয়ে দেন। রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার ভিডিওটিতে দেখা যায়, ওই মোটরসাইকেলের চালক মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছিলেন। পাশাপাশি তিনি নিজের মোটরসাইকেলে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এসময় আশপাশের লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তিনি তাদের বাধা দেন।

বাড্ডা থানা সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর কেরানীগঞ্জে ওই মোটরসাইকেলচালক শওকত আলীর স্যানিটারি পণ্যের একটি দোকান ছিল। সেটা দেড় বছর ধরে বন্ধ। সম্প্রতি একটি মোটরসাইকেল কিনে দু-তিন মাস ধরে রাইড শেয়ারিং অ্যাপে যাত্রী আনা নেওয়া করতেন। তবে বর্তমানের এই পেশায় বিরক্তও ছিলেন।

থানা সূত্রে আরও জানা যায়, বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় দায়িত্বরত এক ট্রাফিক সার্জেন্ট শওকতের কাছে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে নিজেই আগুন ধরিয়ে দেন মোটরসাইকেলটিতে। ফলে মোটরসাইকেলটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, বাড্ডা থানা এলাকায় এক মোটরসাইকেল চালককে থামান দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট। কাগজপত্র ঠিক আছে কি না তা দেখতে চান। তখন ওই চালক কাগজপত্র না দিয়ে ক্ষিপ্ত আচরণ করেন। পরে তিনি নিজেই নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। প্রাথমিকভাবে তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে মনে হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় কর্তব্যরত সার্জেন্টের দোষ আছে কি না সে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

ওই মোটরসাইকেলচালক এখন কোথায় আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি এখন আমাদের বাড্ডা থানায় আছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। হঠাৎ করে কেন তিনি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিলেন, তার নাশকতার কোনো মানসিকতা ছিল কি না সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে পুলিশের কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আছে কি না এমন প্রশ্নে ফারুক হোসেন বলেন, আসলে তিনি নিজেই নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। এখন যদি তার মানসিক অবস্থা বিকারগ্রস্ত হয় সে ক্ষেত্রে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না আমরা খতিয়ে দেখছি। আমরা হয়তো তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিতে পারি।

ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সেখানে সকালে যেন কোনো মোটরসাইকেল না দাঁড়ায়, এমন নির্দেশনা ছিল দায়িত্বরত ট্রাফিক সদস্যদের প্রতি। এমন তথ্য দেন গুলশান ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. রবিউল ইসলাম।তিনি জানান, ঘটনাস্থলে রাইড শেয়ারিংয়ের (পাঠাও) একটি মোটরসাইকেল দাঁড়ালে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা চালকের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু ওই চালক তা না দেখিয়ে উল্টো রেগে গিয়ে নিজের বাইকে আগুন ধরিয়ে দেন।


একুশে সংবাদ/জা/তাশা

Link copied!