AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৫:০৮ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

দুস্পাপ্যতা ঘুচিয়ে মানুষের হাতের মুঠোয় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিপ্লব ঘটিয়েছেন প্রযুক্তি ক্ষেত্রে। স্বপ্ন ছুঁয়েছেন মহাকাশের, লক্ষ্য এখন ফাইভজি বাস্তবায়নের। 

আর দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির পাশাপাশি দেশজুড়ে গড়ে তুলছেন হাইটেক পার্কসহ প্রযুক্তিকেন্দ্রিক বিভিন্ন অবকাঠামো, এতে বাড়ছে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগ। সেই সাথে দেশেই তৈরি হচ্ছে মেইড ইন বাংলাদেশ নামে বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য, যা বিশ্বজুড়ে জানান দিচ্ছে বাংলাদেশের প্রযুক্তি সক্ষমতা।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস, রোবটিকস ও ব্লকচেইনের মতো প্রযুক্তি সক্ষমতা অর্জনে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর হাতছানি দিয়েছে হবিগঞ্জের অজোপাড়া গায়ের শারিরীক প্রতিবন্ধী অনিক মাহমুদকে।  প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে ফ্রিল্যান্সিংয়ে তিনি গড়েছেন ক্যারিয়ার। হয়েছেন আত্মনির্ভরশীল।

অনিকের মতো কম্পিউটারের ক না জানা গ্রামের অনেক তরুন তরুনী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আজ সফলতা অর্জন করেছেন। এমন সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সারকে স্বীকৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ বলছে, এখন পযন্ত ৫ লক্ষ ৮৫ হাজারেরও বেশি প্রশিক্ষণার্থীকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।  এ পযন্ত সাড়ে ৫ হাজারের ও বেশি প্রতিবন্ধীর সক্ষমতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।  অন্যদিকে হাই-টেক শিল্পের বিকাশ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সরকার ৩৯টি হাই-টেক পার্ক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে।  এসব পার্কে এখন পযন্ত বি‌নি‌য়োগ এ‌সে‌ছে সা‌ড়ে ৪ হাজার কো‌টি টাকা। এগুলো নির্মাণ সম্পন্ন হলে তিন লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া প্রতিটি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪ হাজারের বেশি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে, চলমান রয়েছে আরো ৫০০০ ল্যাব স্থাপনের কাজ। প্রতিটি সংসদীয় আসনে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হবে ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রতিযোগিতা মোকাবেলায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইওটি, রোবোটিকস, সাইবার সিকিউরিটির উচ্চ প্রযুক্তির ৩২টি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।  এছাড়া মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণসহ কয়েকটি বড় প্রাপ্তি বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।

শেখ হাসিনা সরকারের দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে বর্তমানে মোবাইল ফোন সিম ব্যবহারকারী ১৭ কোটির বেশি। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় ১২ কোটি।  ২০০৯ সালের আগে যা ছিল মাত্র ১০ লাখ। প্রযুক্তি সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে তরুণরা চাকরিমুখী না হয়ে নিজেরাই গড়ে তুলছে ছোট-বড় আইটি ফার্ম, ই-কমার্স সাইট, অ্যাপভিত্তিক সেবাসহ নানা প্রতিষ্ঠান।  এতে সহযোগিতা করছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ 
আইসিটি ডিভিশনের তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে সিটিজেন সেবা রয়েছে প্রায় ৩ হাজার। এরমধ্যে প্রায় ১ হাজার ১১৯টি সেবা অনলাইনের মাধ্যমে গ্রহণ করছে দেশের জনগন। ২০২১ সালের মধ্যে ২ হাজারেরও বেশি সেবা ডিজিটাল করতে কাজ করছে সরকার। এখন দেশের ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলা ও জেলায় ৫ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে জনগণকে সেবা দেওয়া হচ্ছে।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারের ফলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে প্রযুক্তি যেমন করে সহজলভ্য হয়েছে, তেমনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছেও পৌঁছে গেছে প্রযুক্তিনির্ভর সেবা।  কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, দক্ষতা, কর্মসংস্থান, উদ্ভাবন ইত্যাদি প্রতিটি সেক্টরেই আজ ব্যবহৃত হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সভাপতি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস-বেসিস।

করোনাকালীন ব্যাপক হারে মোবাইল ব্যাংকিং ও ই-কমার্স এবং এফ-কমার্সের প্রসার ঘটেছে, সেই সাথে ঘরে বসে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অফিস এমনকি ভার্চুয়াল আদালতে জামিন ও শুনানি কাযক্রমও পরিচালনা করা গেছে। এসময়ে বেড়েছে নথির ব্যবহার। জানা গেছে,  এখন পর্যন্ত এক কোটি ৫১ লাখেরও বেশি ই-নথি নিষ্পত্তি হয়েছে । প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সিদ্ধান্তে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে দ্বার উম্মোচিত হয়েছিল তা আজ বাস্তব।

গত ১২ বছরের ডিজিটাল বাংলাদেশের পথচলা যেমন আত্মবিশ্বাসী করেছে তেমনি মানুষের কাছে তৈরি করেছে গ্রহণযোগ্যতা। এ দেশের তরুণরা এখন কেবল স্বপ্নই দেখে না, তারা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নও করতে জানে। তাই এখন গর্ব করেই বলা যায়, বাংলাদেশের এই অদম্য যাত্রায় অচিরেই গড়ে উঠবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্বনির্ভর ও আত্মপ্রত্যয়ী বাংলাদেশ।

একুশে সংবাদ

Link copied!