AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

দেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আসন্ন


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৯:৩৫ এএম, ১৪ মার্চ, ২০২১
দেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আসন্ন

নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারায় এক সপ্তাহে দেশে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে ৬৭ দশমিক ২৭ শতাংশ; আর মৃত্যু বেড়েছে ৪৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। আর এতেই অনুমান করা যায় করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আসন্ন। 

বিশেষজ্ঞরা আতংকিত বা আত্মতুষ্টিতে না ভুগে সবাইকে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ ব্যবস্থার মাধ্যমে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে বলছেন।

দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনিক বিজ্ঞপ্তিতে এক সপ্তাহের এই চিত্র উঠে এসেছে। 

করোনার ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- শনাক্তের হার যদি ৫ শতাংশের কম থেকে প্রতি সপ্তাহে দেড়গুণ করে বাড়তে থাকে এবং সেই হার যদি ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে তাহলে সেটাকে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে বলা যায়।

বাংলাদেশে করোনা রোগী শনাক্তের হার তিন শতাংশের নিচে নেমে ছিল। বর্তমানে সংক্রমণের হার বাড়ছে। গত ৮ মার্চ শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। গত ৯ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের শনাক্তের হার ৫ শতাংশের উপরে উঠেছে। ১০ মার্চ শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ১১ তারিখ ছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ। ১২ তারিখে ছিল ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং ১৩ তারিখ ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ।

শনাক্তের হার বিবেচনায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন প্রতি সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করে আমাদের মোট ৪ সপ্তাহ দেখতে হবে। চার সপ্তাহে যদি শনাক্তের হার দেড়গুণ করে বাড়তে থাকে তাহলে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে বলা যাবে।

করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণ সম্বন্ধে জানতে চাইলে ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চের (আইইডিসিআর) অন্যতম উপদেষ্টা এবং একই প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, সংক্রমণ বাড়া বা কমা আমাদের দেশের মানুষের আচার-আচরণ ও সরকারের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল।

তিনি বলেন, বর্তমানে করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলে তাদের আইসোলেশনের বিষয়ে আমাদের মনোযোগ কম। বিদেশফেরতদের মধ্যে শুধু ব্রিটেন থেকে আগতদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করছি। দেশের ভিতরে যারা শনাক্ত হচ্ছেন তারা আইসোলেশনে আছে কিনা, তাদের সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে কিনা, বিষয়টি আমাদের জানা নেই।

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিজ্ঞানী বলেন, মানুষের আচরণের কারণে ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ে বা কমে। ফলে আমাদের অবশ্যই ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা গ্রহণ করা জরুরি। প্রতিটি করোনা রোগী ও তাদের সঙ্গের লোকদের চিকিৎসা এবং কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করতে হবে। এগুলো হচ্ছে সংক্রমণ কমানোর মৌলিক করণীয় বিষয়। পাশাপাশি আমাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং করোনার টিকা নিতে হবে।

এদিকে, গত ১৯ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসার পর এক পর্যায়ে তা ৩ শতাংশের নিচেও নেমেছিল। তবে মার্চের শুরু থেকে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শনাক্তের হারও বাড়তে থাকে। ৯ মার্চ তা আবার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। আর গত দুদিন ধরে দৈনিক শনাক্তের হার রয়েছে ৬ শতাংশের বেশি।

উল্লেখ্য, দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ৫২৭ জন। এ পর্যন্ত যে ৫ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে ৫ লাখ ১০ হাজার ৩১০ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।

একুশেসংবাদ/অমৃ

Link copied!