অস্বচ্ছল শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা

অর্থের অভাবে যাতে শিশুর পড়ালেখা বন্ধ না হয়, সে লক্ষ্য সামনে রেখে চালু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা। প্রাথমিকভাবে বিনামূল্যে ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে এই বীমার আওতায় আনবে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, বীমা হোক সবার’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ ১ মার্চ দেশে পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় বীমা দিবস’।  দিবসটি উপলক্ষে আইডিআরএ নিজস্ব অর্থায়নে চালু করছে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’। এর বার্ষিক প্রিমিয়াম ৮৫ টাকা।

বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা পলিসি গ্রহণের পর অভিভাবক মারা গেলে বা কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেললে ওই শিশু ১৮ বছর পর্যন্ত মাসিক ৫০০ টাকা করে পাবে। আজ জাতীয় বীমা দিবসে এই বীমার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইডিআরএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে আইডিআরএ-এর চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সুখি সমৃদ্ধ ও নিরক্ষর মুক্ত সোনার বাংলা। কোনো শিশু যেন পড়ালেখা থেকে ঝরে না পড়ে সেই লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা বিনামূল্যে দেশের ৬৪টি জেলার একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদরাসা এবং একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীকে বীমার আওতায় আনবো।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী এ বীমার বিষয়ে ঢাকা পোস্টকে বলেন, পিতা-মাতা অথবা আইনগত অভিভাবকের মৃত্যু কিংবা দুর্ঘটনার কারণে শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে, তার জন্য এই উদ্যোগ খুবই যুগান্তকারী। আরও আগে এই উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন ছিল।

এ বীমার আওতায় আসার জন্য শিক্ষার্থীর ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ বছর এবং সর্বোচ্চ ১৭ বছর। এর বেশি কিংবা কম বয়সী শিশুদের বীমার আওতায় আনা হবে না। প্রত্যেক শিশুর জন্য আইডিআরএ বার্ষিক প্রিমিয়াম দেবে ৮৫ টাকা।

শিশুর ১৮তম জন্মদিনে পলিসির মেয়াদ শেষ হবে। সুতরাং শিশুর বয়স ৩ বছর হলে বীমার সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ১৮-৩=১৫ বছর এবং শিশুর বয়স ১৭ বছর হলে বীমার সর্বনিম্ন মেয়াদ হবে ১৮-১৭=১ বছর। এই সময়ে প্রতিটি শিশুকে মাসে ৫০০ টাকা করে বৃত্তি দেবে আইডিআরএ।

প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালের ১ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানের আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদান করেছিলেন। ফলে দিনটিকে প্রতিবছর বীমা দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয় এ খাতের উদ্যোক্তারা। সরকারও এর অনুমোদন দিয়েছে। এ উপলক্ষ্যে প্রতিবছর মেলার আয়োজন করা হলেও করোনার কারণে এবার অনুষ্ঠান সীমিত করা হয়েছে। 

একুশেসংবাদ/অমৃ