আপনার যদি স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তাহলে ডাক্তার আপনাকে আলু থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিতে পারেন, কিন্তু যখন আপনি ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তখন আলু বাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। শুনে নিশ্চয়ই অবাক হলেন? এক্ষেত্রে আলু সঠিকভাবে রান্না এবং খাওয়ার চেষ্টা করে।
আলু কি ওজন কমাতে পারে?
একথা শুনে আপনি অনেক বেশি অবাক হতে পারেন তবে এটি বিশেষজ্ঞরাই বলছেন। এমনটা সম্ভব হয় আলু থেকে পাওয়া কিছু স্বাস্থ্য সুবিধার কারণে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. ফাইবার
আলুতে রয়েছে ফাইবার যা আপনার হজমে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও ফাইবার সামগ্রী আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিতৃপ্ত রাখতে পারে, যার ফলে আপনার ঘন ঘন খাওয়ার তাগিদ কমে যায়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখা জরুরি। এতে ওজন কমানো সহজ হয় পাশাপাশি আরও অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা পাওয়া যায়।
২. পুষ্টি
আলু ভিটামিন সি, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন বি ৬ এর মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিতে সমৃদ্ধ যা আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করতে পারে। শরীরের টিস্যু বৃদ্ধি, বিকাশ এবং মেরামতের জন্য ভিটামিন সি অপরিহার্য। পটাসিয়াম পেশী সংকোচন এবং তরল ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি৬ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য এবং শরীরের মধ্যে অসংখ্য ফাংশন কার্যকরী রাখে।
৩. স্বাস্থ্যকর শর্করা
আলুতে জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে যার অর্থ তা ধীরে ধীরে এবং ধারাবাহিকভাবে এনার্জি দেয়। এর অর্থ হলো, আপনি যদি সঠিক উপায়ে আলু খান তবে এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনার পেট পূর্ণ রাখবে এবং শক্তি জোগাবে।
৪. কম ক্যালোরি
এটি আপনার কাছে বিস্ময়কর হতে পারে তবে আলুতে ক্যালোরি কম থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের মতে, ১০০ গ্রাম আলুতে ৭৭ ক্যালোরি, ২ গ্রাম প্রোটিন এবং ২ গ্রাম ফাইবার থাকে। এতে চর্বি কম থাকে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখতে পারে।
ওজন কমাতে আলু কীভাবে খাবেন?
পুষ্টিবিদ দীপশিখা জৈন বলেন, আপনি যদি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন তবে আলুকে স্ন্যাক্স হিসাবে বা প্রোটিনের উৎসের সঙ্গে রুটি, ভাত বা অন্য কোনো কার্বোহাইড্রেটের উৎসের সঙ্গে মিশিয়ে খান। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ভালোভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে এবং ওজন কমানোর প্রচেষ্টায় কার্যকরী হয়।
একুশে সংবাদ//ঢা.প//র.ন
আপনার মতামত লিখুন :