ভিটামিন ও খনিজ লবন সমৃদ্ধ তালের শাঁস যারা ডায়েট ফলো করছেন বা ডায়াবেটিস এ ভুগছেন তাদের জন্য উত্তম ফল হলো তালের শাঁস। অতিরিক্ত রোদে বা গরমে ত্বকে বিভিন্ন র্যাশ বা এলার্জি দেখা দিলে তালের শাসের খোসা লাগিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায়। তালের শাঁস শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্কদের পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। এছাড়া সানবার্ন থেকে মুক্তি পেতে তালের শাঁসের খোসা বা তালের শাঁসের প্যাক লাগালে ভালো কাজে দেয়।
চলুন জেনে নেয়া যাক তালের শাঁস খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-
* তালের শাঁসে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
* তালের শাঁসে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা আমাদের দাঁত ও দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে এবং দাঁতের ক্ষয়রোধ করে।
* পুষ্টিকর এই ফলে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগ্নেসিয়াম, আয়রন ও ফসফরাস যা হাড়কে শক্ত ও মজবুত করে।
* কচি তালের শাঁস রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
* তালের শাঁসে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় এটি আমাদের শরীর থেকে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
* তালের শাঁস খেলে আমাদের শরীরে নাইট্রেটের পরিমাণ বেড়ে যায়। যা প্রাকৃতিক উপায়ে আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও স্বাভাবিক রাখে।
* তালের শাঁস লিভারেজনিত বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
* তালের শাঁসে আছে ভিটামিন বি ও সি যা বমি ভাব দূর করে ও আমাদের খাওয়ার রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।
* তালের শাঁসে আছে আয়রন যা মেয়েদের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। অ্যানেমিয়া রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
* এতে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগ্নেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, সেলেনিয়াম সহ অন্যান্য খনিজ উপাদান যা আমাদের চোখের জন্য খুবই উপকারী।
* এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম।
* তাছাড়া তালের শাঁস স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ও ক্লান্তি দূড় করতে সহায়ক।
* প্রেগনেন্ট মহিলাদের এই তালের শাঁস খেতে পরামর্শ দেয়া হয় কারন এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
এই গরমে যখন তখন ফ্রিজের ঠান্ডা পানি বা পানিতে বরফ না মিশিয়ে বেশি বেশি তরল সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন, সুস্থ থাকুন।
একুশে সংবাদ/ঢা.পো/এস.আই