AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কানে হঠাৎ কিছু ঢুকে গেলে কি করবেন?


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৬:৩১ পিএম, ২৮ নভেম্বর, ২০২০
কানে হঠাৎ কিছু ঢুকে গেলে কি করবেন?

অসাবধানতাবশত কিংবা কান চুলকাতে গিয়ে কাঠি ভেঙে কানের মধ্যে ঢুকে যাওয়া বেশ সাধারণ একটি ঘটনা। আবার পোকামাকড়, মশা-মাছি প্রভৃতিও কানের মধ্যে দুর্ঘটনাক্রমে ঢুকতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে।শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে কান। কোনো কিছু শোনার জন্য অঙ্গটি আমাদের যেমন সাহায্য করে; তেমনই পরিপার্শ্বের সাথে ভারসাম্য রক্ষাও কানের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। 

এ সমস্যা হলে কানে খোঁচাখুঁচির কারণে বিপদ আরও জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে ছোটো ছোটো কোনো জিনিস নিয়ে খেলার সময় নাক, কান বা মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়ার একটি সহজাত প্রবণতা রয়েছে। বড়দেরও অভ্যাস আছে কোনো কিছু (যেমন- কটনবাড, মুরগির পালক, ম্যাচের কাঠি ইত্যাদি) দিয়ে কারণে কিংবা অকারণে কান খোঁচানোর। এতে খোঁচানোর সময় কাঠি ভেঙে বা কটনবাডের অংশ কানে রয়ে যেতে পারে। তাই এসব বিষয়ে সাবধান হওয়া উচিত। পাশাপাশি এরকম ঘটনায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেও ভুল করবেন না।


কানে কটনবাড বা তুলার অংশ, ম্যাচের কাঠি, পুঁতির দানা, বল বিয়ারিং, পেন্সিলের শিস, ছোটো রাবার, কাগজ কিংবা ফোমের টুকরা, বোতাম, পাথরের ছোটো কুচি, ছোটোখাটো খেলনার ছোটো ছোটো অংশ, পাখি বা মুরগির পালক, ফলের বীজ, শস্যদানা যেমন- ধান, চাল, ফলের বীজ, মুড়ি, চিঁড়া ইত্যাদি ঢুকলে চিকিৎসকের কাছে যেতে সামান্য দেরি হলেও অসুবিধা নেই।

তবে মশা-মাছি, তেলাপোকা, পিঁপড়া বা অন্য কোনো জীব কানে ঢুকে পড়লে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে কানে ব্যথা ও অস্বস্তি হতেই থাকবে। কানে কোনো কিছু হঠাৎ ঢুকে গেলে ব্যথা ও অস্বস্তির পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তি কানে কম শুনতে পাওয়া, মাথা ভার-ভার অনুভূত হওয়া, বিরক্তি এমনকি মানসিক ভীতির মতো উপসর্গে ভুগতে পারেন। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত জিনিস দীর্ঘদিন কানের ভেতরে থাকলে বহিঃকর্ণ, টিম্প্যানিক মেমব্রেন কিংবা মধ্যকর্ণে প্রদাহ হওয়াটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। এরকম ক্ষেত্রে কান থেকে পুঁজ পড়ে ও দুর্গন্ধ তৈরি হয়।

কানের ভেতরে পোকামাকড় ঢুকলে তা বের হওয়ার জন্য ছটফট করে, কানের পর্দা কামড়ে ধরে ও হাঁটাচলা করে। কানে মশা-মাছি, তেলাপোকা, পিঁপড়া বা অন্য কোনো জীব ঢুকলে কানের ছিদ্রের সামনে উজ্জ্বল আলোর টর্চলাইট ধরুন। জীবন্ত পোকামাকড় আলোর প্রতি বেশ সংবেদনশীল। এজন্য দুর্ঘটনাবশত কানে ঢুকে যাওয়া ওইসব পোকামাকড় আলোর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে কান থেকে বের হয়ে আসতে পারে। জীবিত এসব পোকামাকড় জীবিত অবস্থায় কান থেকে কোনো ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে বের করা উচিত নয়, কারণ অনেকসময় এতে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। যেমন এসব অবাঞ্ছিত পোকামাকড় তখন কানের ভেতরে আরও বেশি নড়াচড়া শুরু করে এবং ফলশ্রুতিতে ব্যথা আরও তীব্র হয়ে ওঠে৷ তাই আলোর সাহায্যে ওই পতঙ্গকে কানের বাইরে আনতে সমর্থ না হলে জীবিত পোকামাকড়কে প্রথমে মেরে ফেলতে হবে।

এজন্য কানে পোকা ঢুকলে অলিভ ওয়েল বা নারিকেল তেলের কয়েক ফোঁটা ধীরে ধীরে কানের মধ্যে দিতে পারেন। এতে ওই জীবন্ত পিঁপড়া বা পোকামাকড় কানের ভেতরেই মরে যাবে, ফলে ব্যথা বা অস্বস্তিও কমে যাবে। এরপর আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র কিংবা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অথবা বিশেষজ্ঞ নাক-কান-গলা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন। কানের ভেতরে ঢুকে যাওয়া বস্তু এবং তার অবস্থান ও প্রকৃতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর চিকিৎসক বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহার করে সেই বস্তুটিকে কানের বাইরে বের করে আনবেন।


কানে জড় পদার্থ ঢুকলে সেটিকে বের করার জন্য অহেতুক কোনো চেষ্টা না করে সরাসরি চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কারণ বাসায় কানে খোঁচাখুঁচি কিংবা অপচিকিৎসার ফলে কানের পর্দায় ছিদ্র হয়ে যেতে পারে এবং এতে আক্রান্ত ব্যক্তি চূড়ান্তভাবে শ্রবণক্ষমতাও হারিয়ে ফেলতে পারেন। অল্পবয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে বাচ্চারা ভয়ে কান্না বা নড়াচড়া করলে এবং অসহযোগিতা করলে কানের ভেতরে ঢুকে যাওয়া বস্তু জোরপূর্বক বের করার চেষ্টা না করে হাসপাতালে নিয়ে শিশুকে সম্পূর্ণ অজ্ঞান করার মাধ্যমে ওই বস্তু শিশুর কান থেকে বের করার প্রয়োজন হতে পারে।

কানে দুর্ঘটনাবশত হঠাৎ ঢুকে যাওয়া এসব অবাঞ্ছিত জিনিস সময়মতো বের না করলে বা অদক্ষ হাতে চেষ্টা করার ফলে নানামুখী জটিলতা তৈরি হতে পারে, যেমন- বহিঃকর্ণে আঘাত লাগা এবং তা থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া, কানের পর্দা ফেটে মধ্যকর্ণের ভেতরে থাকা ছোট অস্থিগুলোতে আঘাত লাগা, সাময়িক ও দীর্ঘ মেয়াদে শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া ইত্যাদি।

অযথা যেকোনো কিছু দিয়ে কান খোঁচানো থেকেও বড়-ছোটো সবারই বিরত থাকা উচিত।মানসম্পন্ন কোম্পানির তৈরি শিশুদের খেলনার প্যাকেটের গায়ে বয়সসীমা দেওয়া থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই এসব খেলনার প্যাকেটে আরও লেখা থাকে যে, খেলনাটিতে ছোটো যন্ত্রাংশ আছে এবং তা দুই-তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের ব্যবহারের জন্য নয়। বয়স্কদের উচিত শিশুদের এসব খেলনার ব্যাপারে সচেতন থাকা এবং খেলনা দিয়ে খেলার সময় শিশুকে নজরদারিতে রাখা। 

একুশে সংবাদ/তাশা

Link copied!