AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ জনের যাবজ্জীবন


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, পাবনা
০১:৪৩ পিএম, ১০ অক্টোবর, ২০২২
গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ জনের যাবজ্জীবন

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

 

সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর খন্দকার আব্দুর রকিব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

 

এর আগে একই দিন পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় দেন।

 

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- আটঘরিয়ার গোপালপুর গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৪০), তামেজ শেখের ছেলে আব্দুল্লা মেম্বার (৩৩), আবু বকর শেখের ছেলে লিটন শেখ (২৯), আব্দুস সালাম শেখের ছেলে আজমত শেখ (৩২) ও মৃত তজিম উদ্দিনের ছেলে খোয়াজ শেখ (৪০)। তবে রায় ঘোষণার সময় আব্দুল্লাহ মেম্বার ছাড়া সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

 

জানা গেছে, ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর নিহতের ছেলে তাকে বাড়িতে রেখে পার্শ্ববর্তী গোপালপুরের কাজির বাজারে যায়। পরে রাতে বাড়িতে এসে দেখেন মা নেই। তখন তিনি মনে করেন তার মা হয়তো নানির বাড়ি গেছে। রাতের মধ্যে বাড়িতে ফিরবে ভেবে খাবার খেয়ে দরজা খোলা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, মা বাড়িতে আসে নাই। তখন মামা বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানায়। এরপর আত্মীয়-স্বজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায় না। ঘটনার তিন দিন পর প্রতিবেশীর হলুদের খেতে লিচু গাছের সঙ্গে দুর্গন্ধযুক্ত মরদেহ ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে সংবাদ দেয়। এ সময় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

 

এদিকে এ ঘটনায় নিহতের ভাই সিদ্দিক প্রামানিক বাদী হয়ে ঘটনার ৪ দিন পর ১২ সেপ্টেম্বর আটঘরিয়া থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে সোমবার দুপুরে এ রায় দেন আদালত। তবে মামলার অপর দুই আসামি আবু বকর সিদ্দিক ও জিন্নাহ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।

 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার আব্দুর রকিব বলেন, ধর্ষণের পরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ লিচুগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। সাক্ষ্য ও তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দিয়েছেন।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

Link copied!