AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সেই হাসপাতালের মালিক কারাগারে


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬:৩৪ পিএম, ১১ জানুয়ারি, ২০২২
সেই হাসপাতালের মালিক কারাগারে

ছবি: সংগৃহীত

টাকা দিতে না পারায় রাজধানীর ‘আমার বাংলাদেশ হসপিটাল’থেকে যমজ দুই শিশুকে বের করে দেওয়ার পর এক শিশুর মৃত্যুর মামলায় ঐ হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালত কারাগারে পাঠিয়ে জামিন শুনানি দিন বুধবার (১২ জানুয়ারি) ঠিক করেছেন।

এরআগে দুই দিনের রিমান্ড শেষে গোলাম সারোয়ারকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) সাইফুল ইসলাম। আসামির পক্ষে তার আইনজীবী বুধবার জামিন শুনানির জন্য রাখার আবেদন করেন।

আদালত নিবেদন মতে জামিন শুনানির দিন বুধবার রেখে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বলে জানান মোহাম্মদপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর শরীফুল ইসলাম। গত ৮ জানুয়ারি গোলাম সারোয়ারের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এরআগে এ ঘটনায় ৭ জানুয়ারি শিশু দুটির মা আয়েশা আক্তার মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। তার অভিযোগ, ঠান্ডাজনিত কারণে গত ৩১ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আব্দুল্লাহ ও আহম্মেদকে ভর্তি করেন। ২ জানুয়ারি বলা হয়, তাদের এনআইসিইউতে নেওয়া লাগবে। সেখানে সিট না মেলায় সাভারে কোনো একটি হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এসময় সেখানকার এক অ্যাম্বুলেন্সচালক (দালাল) তাদের পাশের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। তিনি জানান, সেখানেও সরকারি হাসপাতালের মতো খরচ কম।

ওই চালকের কথামতো শিশু দুটিতে ভর্তি করালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছয় দিনে দুই শিশুর চিকিৎসার বিল দেখায় ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা। এরইমধ্যে কয়েক দফায় ৫০ হাজার ৫০০ টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন শিশু দুটির মা। তিনি বলেন, ‘আমরা এত টাকা কোথায় পাবো। তারপরও ৫০ হাজার পাঁচশো টাকা দিয়েছি। বাকি টাকা না দিতে পেরে তাদের হাতে-পায়ে ধরেছি কিন্তু লাভ হয়নি। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল তিনটার দিকে সন্তানসহ হাসপাতাল মালিক আমাকে জোর করে বের করে দেয়। এরপর শাহিন নামে এক যুবককে দিয়ে দুই শিশুসহ ঢামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে যাওয়ার পথে আমার এক ছেলে মারা যায়। আরেক ছেলের অবস্থাও ভালো না।’

একুশে সংবাদ/এসএস

Link copied!