উত্তর কোরিয়া আর্বজনা ভর্তি আরো শতাধিক বেলুন দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠিয়েছে। সিউলের সামরিক বাহিনী আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে। পিয়ংইয়ং গত সোমবার সন্ধ্যায় প্রায় ৩৫০ টি বেলুন পাঠিয়েছে। সিউলের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ বলেছেন, প্রায় ১০০টি বেলুন উত্তর গিয়াংগি প্রদেশ এবং রাজধানী সিউলে এসে পড়েছে।
বেলুনগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাগগুলোতে বেশিরভাগ কাগজের বর্জ্য ছিল বলে সামরিক বাহিনী বলেছে। তাদের বিশ্লেষণ অনুসারে এগুলো জনসাধারণের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করবে না। তারা আরো জানায়, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী অবিলম্বে মনস্তাত্ত্বিক এই যুদ্ধ চালানোর জন্য প্রস্তুত।’
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল কোরীয় যুদ্ধ শুরুর বার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া বক্তৃতায় বলেছেন, ‘উত্তরের সর্বশেষ আবর্জনাসহ বেলুন পাঠানোর ঘটনাটি ঘৃণ্য এবং অযৌক্তিক উস্কানি।
পিয়ংইয়ং ইতিমধ্যেই এক হাজারেরও বেশি আবর্জনা ভর্তি বেলুন পাঠিয়েছে। প্রতিক্রিয়া হিসেবে, সিউল উত্তেজনা-হ্রাসকারী সামরিক চুক্তি সম্পূর্ণরূপে স্থগিত করেছে এবং সীমান্তে লাউডস্পিকার থেকে কিছু প্রচার প্রচারণা পুনরায় চালু করেছে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন এবং প্রধান সরকারের মুখপাত্র কিম ইয়ো জং এই মাসের শুরুতে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, যদি লিফলেট ফেলা এবং লাউডস্পিকার সম্প্রচার অব্যাহত থাকে তাহলে তারা নতুন করে প্রতিক্রিয়ার জানাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমান্তে উত্তেজনা দ্রুত বাড়তে পারে।
১৯৫০-এর দশকের কোরিয়া যুদ্ধের পর থেকেই দুই কোরিয়া পাল্টাপাল্টি প্রোপ্যাগান্ডামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে একে অপরকে বেলুন পাঠিয়ে আসছে। তবে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে উত্তর কোরিয়াবিরোধী প্রোপ্যাগান্ডামূলক লিফলেট পাঠানোকে অপরাধ ঘোষণা করে একটি আইন পাশ করে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :