পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আরও ১২টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত ৯ মে রাওয়ালপিন্ডি পুলিশ জেনারেল হেডকোয়ার্টারে (জিএইচকিউ) হামলাসহ সহিংসতার জন্য অন্তত এক ডজন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির গণমাধ্যম ডন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, চার্জশিট অনুসারে, সাবেক পিটিআই চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধানদের কাছ থেকে প্রাপ্ত ১০৮টি উপহারের মধ্যে ৫৮টি জমা দেননি।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান বর্তমানে আদিয়ালা জেলে আছেন। মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) রাওয়ালপিন্ডির সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি) ইমরান খানকে দুই দিনের পুলিশি হেফাজতে (ফিজিক্যাল রিমান্ড) নেয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন। তবে আদিয়ালা জেলেই ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলা হয়েছে।
বিচারক তোশাখানা মামলার পরবর্তী কার্যক্রম ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেন এবং একই তারিখে ১২ জন সাক্ষীকে তলব করেন। এতে অভিযোগ করা হয়, তোশাখানার নিয়মকানুন উপেক্ষা করে বুশরা বিবি সুন্দর ও দামি গয়নাগুলো রেখেছিলেন। সামরিক সচিব অবশ্য ২০২০ সালে এই উপহারের কথা জানিয়েছিলেন।
প্রসিকিউশনের তালিকা অনুসারে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিবসহ দুই সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা এই মামলায় সাক্ষ্য দেবেন। যেখানে ব্যক্তিগত মূল্যায়নকারী সোহাইব আব্বাসিও ইমরানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন বলে জানা গেছে।
প্রসিকিউশনের নামে সাক্ষীদের মধ্যে আছেন ইমরান খানের সাবেক সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার মুহাম্মদ আহমেদ, উপ-সামরিক সচিব কর্নেল রেহান মেহমুদ, তোশাখানা সেকশন অফিসার বেনামিন, নিদা রেহমান, এনএবির অতিরিক্ত পরিচালক কায়সার মেহমুদ, স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের যুগ্ম পরিচালক সাজিদ খান, সহকারী সচিব প্রটোকল জাহিদ। সরফরাজ আজম, প্রধান মূল্যায়নকারী আজিম মঞ্জুর, মূল্যায়নকারী রাবিয়া সামাদ, দুবাইয়ের ডেপুটি কনস্যুলেট জেনারেল রহিমুল্লাহ, কাউন্সেলর অ্যাটাচে ইরফান রাফাকত, দুবাই কনস্যুলেটের অ্যাডমিন সহকারী মহসিন হাবিব, সাবেক একান্ত সচিব সৈয়দ ইনামুল্লাহ শাহ, ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, এনএবি কর্মকর্তারা মোহম্মদ হারুন, মুস্তান মুস্তাফিজ প্রমুখ। ইমাম শাহ, হাসনাইন মুস্তফা।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :