তেজস্ক্রিয় পদার্থের পাচার ঠেকাতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার এবং নেপালের সঙ্গে থাকা ভারতের আটটি ল্যান্ড ক্রসিং পয়েন্টে এবার রেডিয়েশন ডিটেকশন ইকুইপমেন্ট (আরডিই) স্থাপন করবে ভারত।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এমন সংবাদ জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
পারমাণবিক ডিভাইস তৈরিতে ব্যবহারের জন্য সম্ভাব্য তেজস্ক্রিয় পদার্থের পাচার ঠেকাতে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোর আন্তর্জাতিক স্থল সীমান্ত বন্দর গুলোতে এই ‘রেডিয়েশন ডিটেকশন ইকুইপমেন্ট’ বসাতে চলেছে ভারত।
জানা গেছে, পেট্রাপোল, আগরতলা, ডাউকি ও সুতারকান্দি স্থলবন্দর (বাংলাদেশ সীমান্ত), আত্তারি (পাকিস্তান), রক্সৌল এবং যোগবনী (নেপাল), মোরে (মিয়ানমার) এই আটটি সুসংহত চেক পোস্ট (আইসিপি) এবং স্থলবন্দরে এই আরডিই স্থাপন করবে ভারত ।
টটি অপারেশনাল আইসিপিতে রেডিয়েশন ডিটেকশন ইকুইপমেন্ট সরবরাহ, ইনস্টলেশন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওয়ার্ক অর্ডার সরকার গত বছর সম্পাদিত একটি চুক্তির মাধ্যমে প্রদান করেছে এবং বিক্রেতা শিগগিরই ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া সরবরাহ এবং সম্পূর্ণ করবে।
দফায় দফায় বেড়েছে মানুষ এবং পণ্যের আদান প্রদান। এই আটটি আইসিপি দিয়ে বছরে প্রচুর পরিমাণে মানুষের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যায় পণ্য আমদানি রপ্তানি করা হয়। এই পরিস্থিতে আন্তর্জাতিক সীমান্তে তেজস্ক্রিয় পদার্থের পাচার নিয়ন্ত্রণ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
যদিও পাকিস্তানের সাথে ঠাণ্ডা সম্পর্কের কারণে আটারি আইসিপির মাধ্যমে মানুষ ও পণ্যের চলাচল মারাত্মকভাবে কমে গেছে, তবে অন্যান্য আইসিপিতে মানুষ এবং পণ্যের আন্তঃসীমান্ত চলাচল বেড়েছে।
২০২২ সালে সম্পাদিত একটি চুক্তির মাধ্যমে এই আটটি আইসিপি-তে `রেডিয়েশন ডিটেকশন ইকুইপমেন্ট` সরবরাহ, প্রতিস্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছে সরকার। শিগগিরই সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি এই আরডিই এর সরবরাহ এবং আইসিপি গুলোতে এর প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করবে বলে।
একুশে সংবাদ/আ.ভ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :