দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে এ ক্ষেত্রে সাতটি শর্ত মানতে হবে রফতানিকারকদের। এ অনুমতির মেয়াদ আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রপ্তানির অনুমতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এতে রপ্তানিকারকদের নাম ও রপ্তানির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, কলকাতার ব্যবসায়ীরা পাঁচ হাজার টন ইলিশের চাহিদার কথা জানিয়েছিল। গত ১ সেপ্টেম্বর কলকাতা ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে ওই আবেদন করে। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আসে।
ইলিশ রফতানির শর্ত
ভারতের ইলিশ রফতানির ক্ষেত্রে সাতটি শর্ত দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেগুলো হলো, এক্ষেত্রে রফতানি নীতি ২০২১-২০২৪ বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে। শুল্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রফতানি অনুমতি পাওয়া পণ্যের কায়িকপরীক্ষা যথাযথভাবে করতে হবে।
প্রতিটি চালান জাতীয়করণ শেষে রফতানি সংক্রান্ত সব কাগজ [email protected] ঠিকানায় ই-মেইল করার শর্ত দিয়েছে মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি রফতানি করা যাবে না।
এছাড়া প্রতিটি পণ্যচালান রফতানিকালে শুল্ক কর্তৃপক্ষ অটোমেটিক সিস্টেম ফর কাস্টম ডেটা (এএসওয়াইসিইউডিএ) ওয়ার্ল্ড সিস্টেম পরীক্ষা করে অনুমোদিত পরিমাণের অতিরিক্ত পণ্য রফতানি না করার বিষয়টি নিশ্চিত হবেন। এ অনুমতির মেয়াদ আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
তবে সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহনের ক্ষেত্রে কোনোরূপ বিধিনিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে। সরকার প্রয়োজনে যে কোনো ইলিশ রফতানি বন্ধ করতে পারবে। এ অনুমতির কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য না, অনুমোদিত রফতানিকারক ছাড়া সাব-কন্ট্রাক্ট রফতানি করা যাবে না।
উল্লেখ্য, ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ২০১৯ থেকে ভারতে আবার ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃত ইলিশ।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :