AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

যুক্তরাষ্ট্রের ২১ শতাংশ অস্ত্র বিক্রি কমেছে


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৮:০২ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের ২১ শতাংশ অস্ত্র বিক্রি কমেছে

ছবি: একুশে সংবাদ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে  অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম রফতানিতে, চলতি বছর ২১ শতাংশ কমেছে যুক্তরাষ্ট্রের। এর ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরে বৈশ্বিক অস্ত্র বাণিজ্যে ১৩৮ বিলিয়ন ডলারের লোকসান হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। 

সদ্য শেষ হওয়া ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অস্ত্র ও সামরিক উপকরণ বিক্রির বিবরণী প্রকাশ করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৩ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্স প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোট ১৭৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সময়কালে যেসব দেশে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের বড় চালান পাঠানো হয়েছে, সেসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ইসরায়েল।

২৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে জাপানের কাছে ৬৩টি যুদ্ধবিমান বিক্রি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই বিমানগুলো তৈরি করেছে বিখ্যাত মার্কিন অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী কোম্পানি লকহিড মার্টিন। সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারে অস্ট্রেলিয়ার কাছে এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টার ও ৩ দশমিক ৪ ডলারের বিনিময়ে ইসরায়েলের কাছে সিএইচ-৫৩কে হেলিকপ্টার বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের অন্যতম বড় ক্রেতা সৌদি আরব। তবে জো বাইডেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সৌদি আরবে অস্ত্র বিক্রির চুক্তি স্থগিত ঘোষণা করেন। ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসনের কারণে দেশটিতে যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, তার জের ধরেই এই ঘোষণা দেন বাইডেন।

নিয়ম অনুযায়ী প্রথমটি, কোনো দেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র-সামরিক সরঞ্জাম কিনতে চায়- তাহলে দু’টি পন্থা অবলম্বন করতে পারে। প্রথমত, ক্রেতা দেশের সরকারের প্রতিনিধি সরাসরি কোনো মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি করতে পারে। এটিকে বলা হয় সরাসরি চুক্তি। 

দ্বিতীয়ত, ক্রেতা দেশের সরকারের প্রতিনিধি ওই দেশের মার্কিন দূতাবাসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে মন্ত্রণালয়ের মধ্যস্থতায় অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কিনতে পারে। তবে উভয় ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের অনুমোদন আবশ্যক।

প্রতিবেদনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক বিবরণীতে দেখা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবছরে সরাসরি চুক্তির মাধ্যমে অস্ত্র-সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি কমেছে ১৭ শতাংশ। একই সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যস্থতায় সরঞ্জাম বিক্রির হার কমেছে ৩১ শতাংশ। এছাড়াও জানিয়ে রাখতে চাই, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থবছরের হিসেব শুরু হয় সেপ্টেম্বর থেকে।

একুশে সংবাদ/রাফি

Link copied!