ব্রিটেনে করোনাভাইরস মহামারি এখন এতটাই বেড়েছে যা কোন ভাবেই সামাল দিতে পারছে না সরকার। মৃত্যর সংখ্যা সর্ব কালের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর এবারই সবচেয়ে বেশী মানুষ করোনায় মারা গেছে।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে ৭৫ মিলিয়ন মানুষ মারা গেছেন। এর মধ্যে ২০ মিলিয়ন মেলিটারী, ৪০ মিলিয়ন সাধারন মানুষ, এছাড়া মহিলা , অত্যাচার এবং অসহংসতায় মারা গেছেন অনেকে।
করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৮৪,৭৬৭ জন। যা সর্বকালের রেকর্ডভঙ্গ করেছে। প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষ। এর শেষ কোথায় এখনো আমরা কেউ জানিনা?
স্বপ্নের লন্ডন আজ চরম দুঃসপ্নের এক শহর! প্রতিদিন, প্রতিক্ষন ফোনের মধ্যে ম্যাসেজ আসছে, কল আসছে, ফেইসবুক নিউজ শুধু ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত অথবা মৃত্যুর খবর! সত্যিই খুব ভয়াবহ! আল্লাহ জানে এই ভাইরাস কখন শেষ হবে?
সংবাদপত্রে, টেলিভিশনে, হুয়াটসাপ, ফেইসবুক সহ সকল মিডিয়ায় শুধু মৃত্যুর খবর। কিন্তু যারা তাদের আপনজনকে হারিয়েছেন তারাই শুধু জানেন আসল দুঃখ, যন্ত্রণা, ব্যথা আর বেদনা। কোথাও কোথাও গণকবর দেয়া হচ্ছে। এইমাত্র যিনি মারা গেলেন, তিনি হয়তো কারও মমতাময়ী মা, কিংবা কারও বাবা, অথবা কারো চরম আদরের সন্তান, হতে পারেন কারও স্ত্রী, যাকে তিনি প্রাণের চেয়ে ভালোবাসতেন।
হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করলেন তিনি ছিলেন হয়তো তার প্রাণের স্বামী, যার সাথে তিনি সংসার করেছেন যুগের পর যুগ। কত শুভ্র সকাল, নির্জন দুপুর, স্বর্ণালী সন্ধ্যা কাটিয়েছেন এক সাথে ।চরম বিপদের সময় যিনি ছিলেন একান্ত আশ্রয় আবার হতে পারে এইমাত্র যাকে কবরে শোয়ানা হলো তার কোনো আপনজন পৃথিবীর সব কিছুর বিনিময়ে হলে ও চলে যাওয়া লোককে ফিরে পেতে চান, যা আর কোনো কালে, কোনো দিন, কোনো সময়ে সম্ভব নয়।
এই মাত্র যিনি চলে গেলেন, তিনি রেখে গেছেন,তার সন্তান, স্ত্রী, বন্ধু, বান্ধব, কমিউনিটি, যারা তার মৃত্যুতে একেবারেই দিশেহারা।ইয়াতিম বাচ্চারা ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে থাকছে সফেদ সাদা নিথর, নিস্তব্ধ দেহের উপর। সেই দৃশ্য কখনো ভোলা যায়না।
একুশে সংবাদ/এআরএম
আপনার মতামত লিখুন :