AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আবারও কঠোর লকডাউনে ব্রিটেন


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
১০:১৭ এএম, ৫ জানুয়ারি, ২০২১
আবারও কঠোর লকডাউনে ব্রিটেন

ব্রিটেনে নতুন করোনাভাইরাস লকডাউনের সময় অনুমোদিত কারণ ছাড়া সবার ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এই লকডাউন মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার থেকে সব ধরণের স্কুল এবং কলেজ বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর জন্যই বন্ধ থাকবে এবং ঘরে বসে শিক্ষার বিষয়টি আবার চালু হচ্ছে। খবর বিবিসির

করোনাভাইরাস শনাক্ত এবং রোগীর সংখ্যা দুটোই যখন বাড়ছে তখন বরিস জনসন সতর্ক করে বলেছেন যে আসছে কয়েক সপ্তাহ 'এ পর্যন্ত কঠিনতম সময়' হতে পারে।

তিনি বলেছেন যে, টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্বের তালিকায় থাকা চারটি গ্রুপকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়া হবে আগামী মাসের মাঝামাঝিতে।

কেয়ার হোমে থাকা সব বাসিন্দা এবং তাদের পরিচর্যার কাজ করা কর্মীরা, ৭০ বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি বয়সী, সম্মুখ সারিতে থাকা সব স্বাস্থ্যকর্মী এবং সমাজসেবা কর্মী এবং যারা স্বাস্থ্যগত কারণে প্রচণ্ড ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদেরকে মধ্য ফেব্রুয়ারি নাগাদ এক ডোজ করে টিকা দেয়া হবে।

এর আগে স্কটল্যান্ড বাড়িতে থাকার নির্দেশনা জারি করে এবং ওয়েলস আগামী ১৮ই জানুয়ারি পর্যন্ত সব স্কুল ও কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে। নর্দান আয়ারল্যান্ডেও স্কুলগুলোতে দূরশীক্ষণের সময় বাড়ানো হয়েছে।

ডাউনিং স্ট্রিট থেকে জনসন জনগণকে নতুন জারি হওয়া লকডাউনের নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানান। বুধবার সকাল থেকে এই নিয়মগুলো আইনে পরিণত হবে।

ইংল্যান্ডের নতুন জারি করা নির্দেশনাগুলো অন্তত মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে, বলেছেন মি. জনসন। তিনি বলেন, ভাইরাসটির অত্যন্ত সংক্রামক নতুন একটি ভ্যারিয়ান্ট যুক্তরাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, দেশটি এই লড়াইয়ের সবশেষ ধাপ পার করছে। হাসপাতালগুলো কোভিড মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে যেকোন সময়ের তুলনায় এখন সবচেয়ে চাপের মুখে রয়ছে।

মহামারি শুরুর দিকে যে শ্লোগান ছিল অর্থাৎ 'ঘরে থাকুন, এনএইচএস এবং জীবন রক্ষা করুন' সেটির উপর আবারো জোর দেন তিনি।

ইংল্যান্ডের নতুন নিয়মকানুনে যা থাকছে :

•গত বছর মার্চে জারি করা প্রথম লকডাউনের মতো কোন কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারবে না বাসিন্দারা।

•এগুলোর মধ্যে রয়েছে জরুরি স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রয়োজনীয়তা, খাবার কেনা, শরীরচর্চা এবং যারা বাসায় বসে কাজ করতে পারবেন না তারা।

•মঙ্গলবার থেকে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর জন্য স্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকবে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত দূরশীক্ষণ চলবে।

•প্রাক-প্রাথমিক - যেমন নার্সারি স্কুলগুলো চালু থাকবে।

•এই গ্রীষ্মে স্বাভাবিক সময়ের মতো বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।

•বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে যাওয়া উচিৎ নয় এবং তাদের অনলাইনে ক্লাস নেয়া হবে।

•রেস্তোরাঁগুলো টেক-অ্যাওয়ের মাধ্যমে খাবার বিক্রি করতে পারবে, কিন্তু একই পদ্ধতিতে অ্যালকোহল কেনা যাবে না।

•আউটডোর খেলার স্থান - যেমন গলফ কোর্স, টেনিস কোর্টস এবং আউটডোর জিম বন্ধ থাকবে। কিন্তু আউটডোর খেলার মাঠ খোলা থাকবে।

•অপেশাদার খেলা বন্ধ থাকবে, কিন্তু প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল চলবে।

সোমবার যুক্তরাজ্যে টানা সাত দিনের মতো নতুন করে ৫০ হাজার মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

এছাড়া ২৮ দিনে আরো ৫৮ হাজার ৭৮৪ জন নতুন করে শনাক্ত হওয়ার এবং ৪০৭ জন মৃত ব্যক্তির করোনা টেস্ট পজিটিভ এসেছে বলেও জানানো হয়েছে। যদিও স্কটল্যান্ডের হিসাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

সোমবার দুপুর পর্যন্ত ইংল্যান্ডে ২৬ হাজার ৬২৬ জন ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। যা সপ্তাহের ব্যবধানের হিসাব অনুযায়ী ৩০ শতাংশ বেশি এবং এটি নতুন রেকর্ড।

বরিস জনসন বলেন, যারা স্বাস্থ্যগত কারণে অনেক বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন তাদেরকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে এবং আবারো সুরক্ষা প্রদান করা হবে।

নতুন নির্দেশনায়ও সাহায্য এবং শিশু যত্নের বিষয়ে বাবল পদ্ধতি চালু থাকবে এবং ব্যায়াম করার সময় অন্য বাড়ির একজন ব্যক্তির সাথে দেখা করা যাবে।

শেষকৃত্য এবং বিয়ের মতো সেবা চালু থাকবে। তবে সেখানে উপস্থিত মানুষের সংখ্যা সীমিত থাকবে। জনসন বলেন, স্বাভাবিক সময়ের মতো বছর শেষের পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত না হলেও এ বিষয়ে বিকল্প ব্যবস্থা ঘোষণা করা হবে।

নতুন নিয়মের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে সরকার ২২ পৃষ্ঠার একটি প্রকাশনা বের করেছে। বুধবার নতুন নির্দেশনার বিষয়ে ভোট দিতে প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠিয়েছে হাউজ অব কমন্স। লেবার নেতা স্যার কেইর স্টারমার বলেন, তার দলের এমপিরা নতুন পদক্ষেপগুলোকে সমর্থন দেবে যাতে করে আমরা সবাই মিলে এটিকে সফল করতে পারি।

যুক্তরাজ্যের মেডিকেল কর্মকর্তারা দেশটিতে কোভিডের সতর্কতার মাত্রা পঞ্চম ধাপে অর্থাৎ সর্বোচ্চ পর্যায়ে বাড়ানোর পরামর্শ দেয়ার পর এমন বক্তব্য দিলেন জনসন।

এক যৌথ বিবৃতিতে মেডিকেল কর্মকর্তারা জানিয়েছে যে, পঞ্চম ধাপ বা লেভেল ফাইভ বলতে বোঝায় যে, শিগগিরই এনএইচএস বা জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা কর্তৃপক্ষ নতুন করে আক্রান্ত রোগী সামাল দিতে অপারগ হয়ে পড়বে।

ভ্যাকসিন মিনিস্টার নাধিম জাওয়ায়ী বলেন, ১৫ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকা ১৩.৯ মিলিয়ন মানুষকে টিকা দেয়া হবে।

একুশে সংবাদ/এআরএম

Link copied!