AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

৬ মাসের মধ্যেই মানুষের ব্রেনে চিপ বসবে


Ekushey Sangbad
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
০৪:৫৫ পিএম, ২ ডিসেম্বর, ২০২২
৬ মাসের মধ্যেই মানুষের ব্রেনে চিপ বসবে

প্রতীকী ছবি

কাল্পনিক সুপারহিরো সাইবর্গের কথা মনে আছে? প্রযুক্তির প্রয়োগে এক সাধারণ মানুষই হয়ে উঠবেন আরও শক্তিশালী। তবে সেই বিজ্ঞান আর খুব বেশিদিনের জন্য কল্পনার আড়ালে থাকছে না। ইলন মাস্কের উদ্যোগে কল্পনা যেন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। মাত্র ৬ মাসের মধ্যে মানব মস্তিষ্কে কম্পিউটার ‘ইমপ্ল্যান্ট’ করার পরিকল্পনা ইলন মাস্কের সংস্থা নিউরালিংকের।

 

বুধবার সন্ধ্যায় নিউরালিংক কর্পোরেশন মানুষের মাথায় একটি কয়েনের আকারের কম্পিউটিং ডিভাইস বসাবে বলে জানিয়েছে। এক অনুষ্ঠানে তারা ঘোষণা করে, মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই সেটি বাস্তবায়ন করবে তারা।

 

মানুষের মাথার খুলির একটি অংশ খোদাই করে এটি স্থাপন করা হবে এবং তার মাধ্যমে এটি মস্তিষ্কের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। আপাতত এর অনুমোদনের বিষয়ে ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে তার মধ্যেই সংস্থা জানিয়ে দিল যে, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই তারা প্রথমবার কোনো মানুষের উপর এর পরীক্ষা করার জন্য প্রস্তুত।

 

শুধু মস্তিষ্কই নয়। নিউরালিংক শরীরের অন্যান্য অংশেও ইমপ্লান্ট করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। ইভেন্ট চলাকালীন, ইলন মাস্ক নিজেই এই মস্তিষ্ক-কম্পিউটার ইন্টারফেস ছাড়াও দুটি প্রোডাক্টের উপর কাজ হচ্ছে বলে জানান।

 

বর্তমানে নিউরালিংক এমন একটি ইমপ্লান্ট তৈরি করছে, যা কি-না মেরুদন্ডে বসানো হতে পারে। এটি প্যারালাইসিসে ভুগছেন এমন ব্যক্তির স্নায়ু গতিবিধি পুনরুদ্ধার করতে পারবে বলে দাবি করেছেন ইলন মাস্ক। অন্যদিকে একটি অকুলার ইমপ্লান্টের বিষয়ে কাজ হচ্ছে বলে জানান তিনি। এর মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিশক্তি উন্নত বা পুনরুদ্ধার করা যাবে বলে দাবি ইলন মাস্কের।

 

ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেসকে সংক্ষেপে বিসিআই বলা হচ্ছে। এর মাধ্যমে মস্তিষ্কের শক্তি হারিয়েছেন এমন ব্যক্তিদের সুবিধা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ অ্যামায়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস বা স্ট্রোকের পরবর্তী প্রভাবে ভুগছেন, এমন ব্যক্তিদের চিন্তাভাবনাকে লেখা বা শব্দের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য এই কম্পিউটার ব্যবহার করা হবে।

 

মানুষের উপর ট্রায়ালের ক্ষেত্রে কিন্তু নিউরালিঙ্ক-ই যে প্রথম, তা একেবারেই নয়। এর আগে সিনক্রোন ইনকর্পোরেশন নামের এক সংস্থা অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রোগীদের মস্তিষ্কে এমন ছোট স্টেন্ট-সদৃশ যন্ত্র ইমপ্লান্ট করেছে। এর মাধ্যমে রোগীরা কম্পিউটারের দ্বারা ভাবনা প্রকাশ করতে বা কথা বলতে সক্ষম হচ্ছেন।

 

একুশে সংবাদ/আ.বা/পলাশ

Link copied!