ইসলামিক ক্যালেন্ডারের নবম মাসটি হল রমজান মাস। এই মাসটি হলো প্রার্থনার মাস। এই সময় প্রত্যেক
ধর্মপ্রাণ মুসলমান তাঁর পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে রোজা পালন করেন। প্রতিবছরই এই রামাদান বা রামাজানের পর্ব এলেই খুশিতে মেতে হয়ে ওঠে গোটা মুসলিম জনগোষ্ঠী।
এই রোজার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ইফতার। অনেকেই ইফতারের সময় কী খাবেন, কী খাবেন না তা নিয়ে দ্বন্দ্বে থাকেন।
প্রথমেই ইফতারের সময় একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, ভরপেট খাবেন না, পেটের এক-চতুর্থাংশ খালি রাখবেন।
সাধারণত ইফতারে নানা ধরনের শরবত পান করে থাকি। প্যাকেটজাত ফলের রসের থেকে ফলের রস বানিয়ে খেতে পারেন। ইফতারের পর থেকে সেহরির পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত বেশি পানি খাবেন না।
সবজি ও ফল খাবেন। ইফতারের রাখবেন আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন, খনিজজাতীয় খাবার। এরপর বেশ কিছু পানি খান। তাতে হজমের সমস্যা হবে না। লাল আটা, বাদাম, বিনস, ছোলা, ডাল ইত্যাদি খেতে পারেন। কলা খাবেন।
কারণ, একটি কলায় প্রায় ১০৫ ক্যালোরি থাকে।
ইফতারে কী খাওয়া উচিত নয়? অতিরিক্ত তেল ও মসলাযুক্ত খাবার, ছোলা, পেঁয়াজি, বেগুনি, চপ, হালিম, বিরিয়ানি
ইত্যাদি বাদ দিতে হবে। পাশাপাশি চিনিযুক্ত খাবার খাবেন না।
আর ইফতারের পর বেশি দুর্বল লাগলে ডাবের পানি বা স্যালাইন খেতে পারেন। তাহলে রোজা পালনের সময় অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ভয় নেই।
একুশে সংবাদ.কম/সম
আপনার মতামত লিখুন :