নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে দেশে মাসব্যাপী করোনার গণটিকা শুরু হচ্ছে। এ মাসে ৩ কোটি ৩২ লাখ টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। সারা দেশের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) টিকাকেন্দ্রের পাশাপাশি গ্রামের ঘরে ঘরে করোনার টিকা নিয়ে যাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সারা দেশে ইপিআইর নিয়মিত টিকাকেন্দ্র আছে ১ লাখ ২০ হাজার। এর মধ্যে মহানগরগুলোর ১০ হাজার ইপিআই কেন্দ্রে করোনার টিকা দেওয়া হবে না। বাকি ১ লাখ ১০ হাজার কেন্দ্রে ইপিআইর কর্মীরা করোনার টিকা প্রয়োগ করবেন। প্রতিটি ইউনিয়নে ২৪ থেকে ২৭টি নিয়মিত ইপিআই কেন্দ্র আছে। প্রতিটি কেন্দ্রের আশপাশের ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষকে প্রতিদিন টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ও করোনা টিকা বিতরণ এবং ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক গণমাধ্যমকে বলেছেন, এর আগে আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত টিকা দিয়েছি। এবার আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের আরও ভেতরে একেবারে ওয়ার্ড পর্যন্ত চলে যাব। এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়া হবে। সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হবে। ১৮ বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সী সব মানুষ এই গণটিকায় টিকা পাবেন। জানুয়ারি জুড়ে এই গণটিকায় প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। পরের মাসে একইভাবে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ /এসএম
আপনার মতামত লিখুন :