দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ভেরিয়েন্ট বা ধরনের সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবি।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির এক গবেষণায় উঠে আসে , দেশে শনাক্ত করোনাভাইরাসের ধরন গুলোর মধ্যে ৮১ শতাংশই দক্ষিণ আফ্রিকার ধরণ। এ সম্পর্কে চূড়ান্ত মতামত না দিলেও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে ২৪ শে মার্চ পর্যন্ত ১৬ হাজার দুইশো ৬৫ জন ব্যক্তির দেহ থেকে করোনাভাইরাস এর নমুনা সংগ্রহ করে ২ হাজার সাতশো ৫১টি নমুনা পজেটিভ পায় আইসিডিডিআরবি।
প্রতিষ্ঠানটির গবেষণায় দেখা যায় , জানুয়ারির প্রথম থেকে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে করোনাভাইরাস এর ইউকে ভেরিয়েন্ট বা ধরণ বৃদ্ধি পেলেও মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে দেশে বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট।
চতুর্থ সপ্তাহে দেশে শনাক্ত করোনাভাইরাসের ধরন গুলোর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায় ৮১ শতাংশ।
এ সম্পর্কে চূড়ান্ত মতামত না দিলেও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আপসাউন্ড স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে , দক্ষিণ আফ্রিকান ও ইউকে দুটি ধরণই উচ্চ সংক্রমণশীল। যা দ্রুত মানুষকে সংক্রমিত করে।
বর্তমানে করনা ভাইরাসের সংক্রমনের তীব্র ঝুঁকি এড়াতে মাস্ক ব্যবহার , স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ও জনসমাগম এড়িয়ে চলা সহ টিকা গ্রহণ করতে সকলের প্রতি পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
একুশে সংবাদ/জি/আ
আপনার মতামত লিখুন :