AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ইন্টারনেট, ইউটিউব ও ফেসবুক এর যুগে হারিয়ে যেতে বসেছে ‘গুলতি’


Ekushey Sangbad
ফিচার ডেস্ক
০১:০৬ পিএম, ২৬ মে, ২০২৩
ইন্টারনেট, ইউটিউব ও ফেসবুক এর যুগে হারিয়ে যেতে বসেছে ‘গুলতি’

ফেসবুক, ইন্টারনেট, ইউটিউবের যুগে গুলতি হারিয়ে যেতে বসেছে। এক সময় গ্রামের মানুষ বিশেষ করে শিশু কিশোরদের হাতে দেখা যেত গুলতি। বিশেষ করে শিশু কিশোরা গুলতি দিয়ে পাখি শিকার, আম পাড়া ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার করতে দেখা যেতো। 

 

গুলতি (Gulti) ছোট পাথর, মাটির বা মার্বেলের গুলি প্রভৃতি ছোড়ার প্রাচীন ও দেশি অস্ত্রবিশেষ। প্রাচীন কালে লাটিম-নাটাইয়ের পাশাপাশি গুলতির গুরুত্বও কম ছিল না।

 

একসময় গুলতি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতো। এই যন্ত্র প্রথম আবিষ্কার করে গ্রিকরা। পড়ে বিভিন্ন যুদ্ধে বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী কোনো দুর্গের মাঝে বড় বড় পাথর ও আগুনের গোলা ছুড়ে মারার জন্য এটি ব্যবহার করত। বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে এর ব্যবহার নেই বললেই চলে।

 

গাঁয়ের শিশু-কিশোররা অনায়াসে গুলতি তৈরি করতে পারে। পেয়ারা, জাম, বেল ইত্যাদি শক্ত গাছের চিকন এক টুকরা ডাল দিয়ে হাতল বা দোডালা তৈরি করা হয়। অনেকটা ইংরেজি ‘ওয়াই’ (Y) অক্ষরের মতো। এর বাকল রোদে শুকিয়ে এই হাতলের Y-এর দুই বাহুর সঙ্গে রাবারের ফিতা বা সাইকেলের টিউব বা ভয়েল টিউব সুতা দিয়ে বেঁধে গুলতি তৈরি করা হয়। নিচের প্রান্তটি ব্যবহার করা হয় হাতল হিসেবে। রাবারের ফিতাকে বলা হয় ব্লক। ব্লকের ঠিক মাঝখানে চামড়া বা রেক্সিন জাতীয় বস্তুর তুলনামূলক চওড়া টুকরা রাবারের নলের সঙ্গে সুতা দিয়ে গিঁট দেওয়া হয়। এটা গুলির আধার বা রাখার স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

 

গুলতির প্রধান গোলাবারুদ হলো পোড়া মাটির গোল মার্বেল। একসময়  মাটি কাদা করে মার্বেলের মতো গোল করে পাকিয়ে রোদে শুকিয়ে উনুনে পুড়িয়ে গুলতির গুলি বানানো হতো। এর পরিবর্তে এখন কাচের মার্বেল, নুড়িপাথর বা ইটের ছোট টুকরা প্রভৃতি ব্যবহার করা হয়। একসময় গুলি প্যান্টের পকেটে রেখে গ্রামের শিশু, কিশোররা বেড়িয়ে পড়ত মাঠে বা বনবাদাড়ে। শক্তির পরীক্ষা হতো দীঘি বা পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে। তবে শিশু-কিশোররা শক্তির পরীক্ষার প্রতিযোগিতার চেয়ে গুলতি দিয়ে গাছের পাকা ফল পাড়তে বা পাখি শিকার করতেই বেশি পছন্দ করে। গ্রামের মুদি দোকানগুলোতে এখনো গুলতি কিনতে পাওয়া যায়। শহরে বৈশাখী মেলাসহ বিভিন্ন মেলা ছাড়া এই গুলতির দেখাই পাওয়া যায় না বললেই চলে। তাই শহরের শিশুরা অনেকেই শিশুই ঐতিহ্যবাহী গুলতি চেনেই না।

 

এই বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলার সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক  কাজী হাচান ফিরোজ বলেন,বহু আগে থেকেই গুলতির প্রচলন ছিল,শৈশব কেটেছে ড্যাংগুলি, মারবেল, বড়সি দিয়ে মাছ ধরা,ঘুড়ি উড়িয়ে সময় কাটানো, সাঁতার কাটা ছিল  প্রতিদিনের সঙ্গী।  কিন্তু বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট, ফেজবুক,ইউটিউব এর যুগে গুলতি হারিয়ে যেতে বসেছে।এর ফলে এখন আর  কিশোরদের হাতে  দেখা যায় না গুলতি।  


একুশে সংবাদ.কম/স চ/সম   
 


 

Link copied!