AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম গঞ্জের প্রকৃতির কারিগর বাবুই পাখি


হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম গঞ্জের প্রকৃতির কারিগর বাবুই পাখি

“বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই, কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই। আমি থাকি মহা সুখে অট্টালিকার পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ বৃষ্টি ঝড়ে”- কবি রজনীকান্ত সেনের কালজয়ী ছড়াটির নায়ক, আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী নিপুণ বাসা তৈরির কারিগর বাবুই পাখি আজ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

 

কালের আবর্তনে বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে তালের পাতায় মোড়ানো নিপুণ কারুকার্য খচিত বাবুই পাখি ও তার বাসা। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে বাবুই পাখির বাসা এখন বিলীন হতে চলেছে।

 

অথচ আজ থেকে এক যুগ আগেও গ্রাম-গঞ্জের মাঠ-ঘাটের তাল গাছে দেখা যেত এদের বাসা। চমৎকার বাসা বুনে বাস করায় এ পাখির পরিচিতি বিশ্বজোড়া। এক সময় বাবুই পাখির কিচিরমিচির শব্দে গ্রাম বাংলার মানুষের সকালবেলা ঘুম ভাঙতো। বৈরী আবহাওয়া ও পরিবেশের কারণে এখন আর তা হয় না।

 

শিল্পী এ পাখিকে নিয়ে কবি রজনী কান্ত সেন তার স্বাধীনতার সুখ কবিতায় লিখেছেন, বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই, কুঁড়ে ঘরে থেকি কর শিল্পের বড়াই, আমি থাকি মহা সুখে অট্টালিকা পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ-বৃষ্টি ঝড়ে। বাবুই হাসিয়া কহে, সন্দেহ কি তায়? কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়। পাকা হোক তবু ভাই, পরেরও বাসা, নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর খাসা।

 

কবির এই চিরচেনা বাবুই পাখির অস্তিত আজ হুমকির মুখে। বসবাস উপযোগী পরিবেশ না থাকায় হারিয়ে যেতে বসেছে শৈল্পিক বাসার কারিগর বাবুই পাখি।

 

কথিত আছে বাবুই পাখি নিজের বাসা উজ্বল রাখতে রাতে জোনাকি পোকা ধরে এনে বাসায় রাখে। এরা প্রতিটি তালগাছে প্রায় ৫০ থেকে ১০০টি বাসা তৈরি করে। বাসা তৈরি করতে এদের সময় লাগে ১০-১২ দিন। তালপাতা, খড়, কুটা, ঝাউ, কাশবন ও লতা-পাতা দিয়ে বাবুই পাখি উঁচু তালগাছে বাসা বাঁধে। প্রবল ঝড় ও বাতাসে টিকে থাকে তাদের বাসা। বাবুই পাখির শক্তবুননের এ বাসা টেনেও ছেড়া কঠিন।

 

বাবুই পাখি সাধারণত বিভিন্ন ফসলের বীজ, ধান, বিভিন্ন প্রজাতির পোকা, ঘাস, ছোট উদ্ভিদের পাতা, ফুলের মধু ও রেনু খেয়ে জীবনধারণ করে।

 

 পাখি প্রেমিক আসাদুল হক  জানায়, অসংখ্য প্রজাতির পশু, পাখি, কীট-পতঙ্গ আমাদের পরিবেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বাবুই পাখি বিচরণ ধরে রাখার জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার।

 

আরেক পাখি প্রেমিক সিপন বলেন, বৈরী আবহাওয়া ও পরিবেশের কারণে অনেক প্রাণি হারিয়ে যাচ্ছে। অনেকগুলো বিলুপ্তির পথে। প্রকৃতির বিরুদ্ধে মানুষের আগ্রাসী কার্যকলাপের বিরূপ প্রভাবেই এরা হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে দেশের গ্রামাঞ্চলে এখনো হঠাৎ করেই চোখে পড়ে বাবুই পাখির বাসা।আমরা ছোটবেলায় বই এ পড়েছি বাবুই পাখির সম্পর্কে ছিল অনেক সুন্দর একটি কবিতা তবে এখন আর দেখা মিলে না বাবুই পাখির বাসার।

 

একুশে সংবাদ.কম/ল.ই.জা.হা

Link copied!