AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
দেশিও ইমিটেশন শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে

মুকসুদপুরে ইমিটেশনের গহনা ছেড়ে তাবিজ তৈরিতে ঝুঁকছে কারিগররা


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৯:৩৩ পিএম, ১২ মার্চ, ২০২১
মুকসুদপুরে ইমিটেশনের গহনা ছেড়ে তাবিজ তৈরিতে ঝুঁকছে কারিগররা

তাবিজ তৈরি করছে নারীরা

এক সময় ইমিটেশন শিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় । হাজার হাজার নারী-পুরুষ ইমিটেশনের গহনা তৈরির কাজ করে স্বাবলম্বী ছিল । কিন্তু উন্নত মেশিন আর মানসম্পন্ন মেডিসিনের অভাবে বিদেশি গহনার সাথে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পরায় এ শিল্প এখন বিলুপ্তি পথে । নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ও চাহিদা থাকায় তাই ইমিটেশনের গহনা ছেড়ে তাবিজ তৈরিতে ঝুঁকছে কারিগররা।

কারিগররা জানান, মালিকরা ঢাকার জিনজিরা থেকে তাবিজ তৈরির কাচামাল তামা, দস্তা, ব্রঞ্জ কেজি প্রতি ৫০০-৭০০ টাকায় কিনে আনেন । এরপর সাইজমত কেটে গোল করে সাছে ফেলা হয়। আগুনে পুড়িয়ে পাইন দিয়ে ঝালাই করে আবার সাইজমত কেটে বিভিন্ন মেডিসিন দিয়ে কালার করে তাবিজ তৈরি করা হয় ।

শিমুল বাকচি নামে এক কারিগর জানান, একসময় জলিরপাড়সহ গোপালগঞ্জের অনেকেই ইমিটেশনের গহনা তৈরি করত । কিন্তু এখন এসব গহনার চাহিদা কমে যাওয়ায় কারিগরদের সংখ্যা কমে গেছে। তাই এখন অনেক কারিগররা তাবিজ তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে।

জলিরপাড়ে রুপচাদ বাকচী নামে আরেক কারিগর জানান, আমরা ভোর  থেকে দুপুর ১ টা পর‌্যন্ত কাজ করে ৯-১০ কেজি তাবিজ তৈরির কাজ করতে পারি। এতে দৈনিক ১৫০-২০০ টাকা মজুরি পাই । বাকী সময় অন্যান্য কাজ করি । এতে যা রোজগার করি তাতেই আমাদের সংসায় চলে যায়।

বিধান বাকচী নামে এক মালিক বলেন, এখানের তৈরিকৃত তাবিজ ঢাকা, খুলনা, বগুড়া, বরিশাল, বরগুনা, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কেজি প্রতি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায়  বিক্রি করা হয়।   আমি ৮ বছর ধরে কারিগর নিয়ে তাবিজ তৈরি করে আসছি । এ শিল্পে লাভ কম হলেও চাহিদা বেশি থাকায় তাবিজ তৈরির কারিগরদের সময়মত মজুরি দিতে পারি । ইমিটেশনের গহনা তৈরি কমে গেছে। সরকার আমাদের সহযোগিতা করলে এ শিল্পকে আমরা সফলতার সাথে টিকিয়ে রাখতে পারবো।

জলিরপাড় ব্রোঞ্জ মার্কেট সমিতির সভাপতি মন্টু রায় বলেন, উন্নতমানের মেশিনের অভাবে বিদেশিদের তুলনায় মানসম্মত গহনা তৈরি করতে না পারায় ইমিটেশন শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে। তবে  তাবিজের ব্যাপক চাহিদা থাকায় এটি তৈরিতে ঝুঁকছে কারিগররা। সরকার আমাদের এ ব্যাপারে সহযোগিতা করলে অবশ্যই এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

 

একুশে সংবাদ/এসএম

Link copied!