AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
এক বাড়িতেই অর্ধশত মৌচাক

এ যেন মৌমাছিদের বাড়ি...


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
১২:৩৯ পিএম, ৫ জানুয়ারি, ২০২১
এ যেন মৌমাছিদের বাড়ি...

রাজবাড়িতে এক প্রবাসীর বাড়িতে বসেছে প্রায় অর্ধ শতাধিক মৌচাক। দেখে মনে হবে এ যেন মৌমাছিদের বাড়ি। গুনগুন গানে আর মৌ ঘ্রাণে মুখরিত বাড়ির চারপাশ। এই বাড়ি থেকে প্রতি বছর ৩ থেকে ৪ মন টাটকা খাঁটি মধু আহরণ করা হয়ে থাকে। ফলে অনেক মৌয়াল মাঠে মধু পাতলেও এখন ওই বাড়ি থেকেই মধু সংগ্রহ করছে।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের কানাডা বাজার সংলগ্ন মুন্সিবাড়ির দোতলা বাড়িতে বসেছে প্রায় অর্ধশত মৌমাছির মেলা। গত ৪ বছর ধরে রহস্যজনভাবে এ শীত মৌসুমে মৌমাছিরা ওই দোতলা বাড়িতে এসে মৌচাক তৈরি করে মধু আহরণ করে। পুরো বছর ধরেই কম বেশি মৌমাছি থাকে ওই বাড়িতে। এসব মৌচাক থেকে সংগ্রহকৃত মধু বিক্রির টাকা নিজে ভোগ না করে অসহায় মানুষের মধ্যে বণ্টন করে থাকেন বাড়ির মালিক সেকান্দার মুন্সি।

জানা যায়, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের গুঞ্জরনে মুখরিত থাকে এলাকা। এ যেন মৌমাছির অভয়াশ্রম। মৌ মৌ গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে উড়ছে মৌমাছির দল। সেখানে দোতলায় প্রায় অর্ধশত চাক গড়ে তুলেছে মৌমাছিরা, দোতলা বাড়ির পশ্চিম দিকের কার্নিশে পুরো বাড়ি যেন দখল নিয়েছে এরা। মূল ফটকের উপরের দোতলায় বাসা বেঁধেছে মৌমাছি। উৎসুক জনতা প্রতিদিনই মৌমাছির চাক দেখতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সেখানে ভিড় করছে। চারদিকে ছেয়ে গেছে মৌমাছির চাকে।

বাড়ির মালিক সেকান্দার মুন্সি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে আমার দোতলা ভবনটিতে মৌমাছির ২৩টি চাক আমার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। আশ্রয় নেওয়ার পর এখন ২০২০ সাল পর্যন্ত অর্ধশত মৌমাছির চাক তৈরি হয়েছে। মৌমাছির চাকগুলো আমাদের কোনো ক্ষতি করে না।

তিনি আরও জানান, সারা বছর ৪ থেকে ৫টি মৌচাক থাকে। কিন্তু শীত এলেই ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি এসে তার বাড়িতে মৌচাক তৈরি করে। গত বছর এই শীত মৌসুমে ৩০টি মৌচাক ছিল। এবার ইতোমধ্যেই ৫০টি মৌচাক বসেছে। এর সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যাবে। এসব মৌচাক থেকে সংগ্রহকৃত মধু বিক্রি করে তিনি যে টাকা পান তা দিয়ে গরীব মানুষের মধ্যে কাপড় চোপড় এবং গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার খরচ দেন। তিনি নিজে একটি টাকাও ভোগ করেন না।

চাকগুলো মৌয়াল দিয়ে কাটার পর যে টাকা পাই, তা গত বছর এতিমদের জন্য একটি মাদরাসায় দিয়ে দিয়েছি। যেহেতু এ বছর মৌমাছির চাক বেশি তাই টাকাও বেশি পাব। চিন্তা করেছি আরও ৩ থেকে ৪টা এতিমখানা ও মাদরাসায় এ টাকা দিয়ে দিবো।

একুশে সংবাদ/আটি/এআরএম

Link copied!