জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় যৌথ প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় নতুন ও উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনায় গতিশীলতা এনে দিতে পারে তরুণেরা। তাদেরকে কাজে লাগাতে হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষো শনিবার গ্লোবাল ইয়ুথ ক্লাইমেট সামিট-২০২১ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশীপ সেন্টার আয়োজিত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ফারজানা কাশফি।
বক্তৃতা করেন সামিটের প্রধান উপদেষ্টা ডার্বি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য স্যার ক্রিস্টোফার বল, সংগঠনের সভাপতি ইজাজ আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার বলেন, জলবায়ু বিরুপ প্রভাব নিরুপক সূচক-২০১৯ অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম। এই ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ডেলটা প্লান-২১০০’ গ্রহণ করেছেন। জলবায়ুর পরিবর্তনে প্রভাবিত ৪৮টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সমন্বয়ে গঠিত ফোরামের বর্তমান সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশীপ সেন্টার আয়োজিত সামিট অনুপ্রেরণামূলক ও প্রশংসনীয়।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, বাসযোগ্য একটি পৃথিবী গড়ে তুলতে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলা জরুরী। তাই গাছ লাগিয়ে প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হবে। কার্বন নিঃসরন কমিয়ে পরিবেশগত ঝুঁকি কমাতে হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলে তরুণদের একত্রিত করে তাদের মধ্যে নেতৃত্বের দক্ষতা তৈরি এবং প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
একুশেসংবাদ/অমৃ
আপনার মতামত লিখুন :