আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা জাস্টিন বালডোনিকে দেয়া ‘ভয়েস অব সলিডারিটি’ পুরস্কার প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিনেত্রী ব্লেক লাইভলির আনা যৌন হেনস্তার অভিযোগে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভাইটাল ভয়েসেস।
এটি একটি আন্তর্জাতিক এনজিও যা নারীদের ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে। পুরস্কারটি এমন পুরুষদের দেয়া হয় যারা নারীদের উন্নয়ন ও বিকাশে অবদান রাখেন। কিন্তু লাইভলি তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং অত্যাচারের অভিযোগ এনে একটি আইনি নথি দাখিল করেছেন। যার কারণে সংগঠনটি গেল ৯ ডিসেম্বর, নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে বালডোনিকে দেয়া পুরস্কারটি বাতিল করেছে।
জাস্টিন বালডোনির সহ-অভিনেত্রী ব্লেক লাইভলি দাবি করেন, তার খ্যাতি ধ্বংস করার জন্য একটি ক্যাম্পেইন চালাচ্ছেন বালডোনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তিনি লাইভলির ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি আরো দাবি করেছেন, বালডোনি তাকে নানা শর্তে বাধ্য করার জন্য ভয় দেখিয়েছিলেন।
এই বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আসতেই দারুণ সমালোচনার মুখে পড়েছেন বালডোনি। যার প্রেক্ষিতে ভাইটাল ভয়েসেস তাদের পুরস্কার প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ‘বালডোনিকে নিয়ে যে অভিযোগ এসেছে তা আমাদের সংস্থার মূল মূল্যবোধ এবং এই পুরস্কারের উদ্দেশ্যের বিরুদ্ধে।’
‘ইট এন্ডস উইথ আস’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে জাস্টিন বালডোনির দ্বারা এই হেনস্তার শিকান হন লাইভলি। এই ছবিটির পরিচালক বালডোনি। সেইসেঙ্গ লাইভলির সহ অভিনেতাও তিনি। তার এমন আচরণ হলিউডে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই ঘটনার পর পরিচালক পল ফেইগ, অ্যাম্বার হার্ডসহ বেশ কয়েকজন সেলিব্রিটি লাইভলির পক্ষ নিয়েছেন। তারা হলিউডে কাজের সুন্দর পরিবেশ ও পুরুষ সহকর্মীদের কাছে শিষ্টাচার দাবি করেছেন।
‘ইট এন্ডস উইথ আস’ ছবির পরিবেশক সনি পিকচার্সও লাইভলির আইনি পদক্ষেপের পর একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে তারা লাইভলির প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে। তার সম্মানহানির প্রচেষ্টার নিন্দাও জানানো হয়েছে। ছবিতে লাইভলির সহ-অভিনেতা ব্র্যান্ডন স্কলেনারও ইনস্টাগ্রামে তার সমর্থন প্রকাশ করেছেন।
ঘটনাটি বালডোনিকে বলা চলে ভিলেন বানিয়ে দিয়েছে। তার এজেন্সি ডব্লিউএমই থেকেও তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

