কাহিনীর সঙ্গে সেক্স থাকলে সিনেমা করতে খুব ভালো লাগে!

টলিউডে এমন অনেক নায়িকা রয়েছেন যাদের নিয়ে চর্চা লেগেই থাকে। এমনই একজন অভিনেত্রী হলেন ঋতুপর্ণা সেন। ঠিক চিনতে পারলেন না তাই না? হয়তো ‘ঋ’ বললে চিনতে পারবেন। হ্যাঁ, এখানে কথা হচ্ছে ঋ’য়েরই। ইনি এমন একজন অভিনেত্রী সত্যিই যার কাজের মাধ্যমে তাঁর পরিচয়।

অভিনীত বেশ কিছু ছবি এখনও দর্শকদের মনে গেঁথে রয়েছে। সেই লিস্টে নাম রয়েছে ‘গান্ডু’, ‘কসমিক সেক্স’এর মতো সিনেমার। কৌশিক মুখার্জির ‘গান্ডু’ এবং অমিতাভ চক্রবর্তীর ‘কসমিক সেক্স’এ ঋ’য়ের

অভিনয় নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। ক্যামেরার সামনে অঙ্গ প্রদর্শনের জন্য দর্শকদের একাংশের প্রচুর কটু কথাও শুনতে হয়েছে তাঁকে। এবার সম্প্রতি একটি নামী সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ঋ। যা নিয়ে ফের শুরু হয়েছে চর্চা।

টলিউডের একাধিক জনপ্রিয় সিনেমার নায়িকা এখন বাংলা টেলিভিশনের পরিচিত মুখ। ‘টুম্পা অটোওয়ালি’-সহ আরও একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন তিনি। সেখানেই কাজের ফাঁকে একটি সাক্ষাৎকার দেন তিনি। নিজের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে কাজের অভিজ্ঞতা- সব কিছু নিয়ে সোজাসাপ্টা উত্তর দেন অভিনেত্রী।

মানেই সাহসী দৃশ্য- তাঁর অভিনীত ছবি দেখে দর্শকদের একাংশের মনে গেঁথে গিয়েছে এই ধারণা। যদিও তাতে খুব একটা আপত্তি হয়তো নেই নায়িকার। কারণ সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই বলেন- কোনও সিনেমায় যদি দুঃখ, ভালোবাসা, রাগের সঙ্গে সেক্সও থাকে তাহলে সেই ধরণের ছবি তাঁর করতে বেশ ভালোলাগে।

‘কসমিক সেক্স’ অভিনেত্রীর বলেন তাঁর একটি আফসোস হল কিংবদন্তি পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গে কাজ না করতে পারা। পরিচালকের ‘বাড়িওয়ালি’ ছবিতে সুদীপ্তার চরিত্রটি তাঁর খুব পছন্দের। অভিনেত্রীর কথায়,

‘বাড়িওয়ালি ছবিতে সুদীপ্তার চরিত্রটা যেমন, খুব বলিষ্ঠ নারীকেন্দ্রিক একটা চরিত্র। ওই চরিত্রের মধ্যে দুঃখ, ভালোবাসা, রাগ, সেক্স সব কিছু ওখানে ছিল। ওরকম চরিত্র করতে আমার খুব ভালোলাগে’। অভিনেত্রীর সংযোজন, ‘আমি কসমিক সেক্সে অনেকটা এমন চরিত্র করেছি’।

একুশে সংবাদ/ ক.প্র/ রখ