কোন দিনও সুখী হওনি তাই না? নুসরাতকে বললেন আবির

অবশেষে রিলিজ হল ব্রাত্য বসু পরিচালিত, নুসরাত জাহান অভিনীত ‘ডিকশনারি’র টিজার।  ঘটনাচক্রে সিনেমার ‘ডিকশনারি’র বাইরে বেরিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের ডিকশনারি থেকে তিনি ‘বিতর্ক’ বাদ দিতে চান বলে জানিয়েছেন বিতর্কিত সাংসদ অভিনেত্রী নুসরাত জাহান।

সম্পর্কের নতুন ‘অভিধান’ সমালোচনা অব্যাহত। নিখিল-নুসরাত-যশের সম্পর্কের যাবতীয় টানাপড়েন, এবং সে নিয়ে অসংখ্য প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে অভিনেত্রী-সাংসদকে। কিছু প্রশ্নের উত্তর তিনি দিচ্ছেন, কিছু প্রশ্নে তিনি বিব্রত। তবে ফিল্মি আলোচনা কিংবা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি বিরাজমান।

তবে আজ আরেকবার সম্পর্কের জটিলকুটিল ফ্যাক্টর থেকে বেরিয়ে নতুন ‘ডিকশানারি’র পাতা ওল্টালেন নায়িকা। ন’বছর পর পরিচালকের ভূমিকায় ব্রাত্য বসু। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় নুসরাত জাহান এবং আবির চট্টোপাধ্যায়। গত বছর লকডাউনের ঠিক আগে আগে শুরু হয়েছিল ছবির শুটিং। শুটিং লোকেশন ছিল শান্তিনিকেতন। শুটিং এ বেশ ব্যাস্ত সময় কাটিয়েছেন আবির-নুসরাত। ছ’দিন আগে ‘ডিকশানারি’র প্রথম লুক প্রকাশ্যে আসে।

অভিনেতা অর্ণ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে নুসরাত একটি গাছের আসপাশে খুনসুটিতে মেতেছেন। আর দূরে দাঁড়িয়ে আবির চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্ন “কোন দিনও সুখী হওনি তাই না?”

এ প্রশ্ন কি আজকের দিনে নুসরাতর বাস্তব জীবনে সত্যিই যথাযথ? তবে এ প্রশ্ন আবিরের কণ্ঠে যে আকুতি তা দর্শকের মনে বিঁধবেই।
কয়েক মাস ধরে নুসরাতের জীবনের ‘ডিকশনারি’ বেশ বিতর্কিত। বেশ কিছুদিন ধরে তা প্রকাশ্যে আসছে। 

 জীবনের ‘ডিকশনারি’ থেকে বিতর্ক শব্দ কি বাদ দিতে চান কী না জানতে চাইলে নুসরাত বলেন “বাদ কিছুই দিতে চাই না। এড়িয়ে যেতে চাই। কিন্তু অনেক সময়ে নেগেটিভিটি চলে আসে। এই নেগেটিভিটি থেকে দূরে থাকতে বিতর্ক বাদ দিতে হয়।”

যশের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ এবং নিখিলের সঙ্গে ‘দূরত্ব’ নিয়ে তিনি বলেন, “আমি কোনও কিছুই লুকিয়ে রাখি না। যা আছে সামনে রয়েছে এবং আগামীদিনে তা-ই থাকবে, কিন্তু আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লোকের মন্তব্য করার অধিকার নেই।”

একুশে সংবাদ/ট/আ