গত অর্থবছরে সব ধরনের পলিথিন, প্লাস্টিক ব্যাগ ও মোড়ক সামগ্রীর ওপর ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল, তা ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ন্যাচার কনজার্ভেশন অ্যালায়েন্স (বিএনসিএ) উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর পলিথিন ব্যাগের দাম কমবে এবং আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ এ উপাদানের ব্যবহার ও দেশে পরিবেশ দূষণ আরও বাড়বে।
৩৩টি পরিবেশবাদি সংগঠনের জোট বিএনসিএ মনে করে, যেখানে সরকার ও সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ক্ষতিকর পলিথিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে বলছে, সেখানে পলিথিনের ওপর থেকে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব স্ববিরোধী।
প্রস্তাবিত বাজেটে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহারকে আরও উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে মনে করছে বিএনসিএ।
বিএনসিএ’র ৩ দফ দাবি
১. পলিথিনের ওপর সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব পুর্নর্বিচনা করা।
২. পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন ও প্লাস্টিক বন্ধে আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৩. পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সব শিল্পকে শুল্কের আওতায় আনা ও পরিবেশ-বান্ধব শিল্পকে প্রণোদনা দানের মাধ্যমে উৎসাহিত করা।
বিএনসিএ আশা প্রকাশ করে যে রিভাইজড বাজেটে পলিথিনের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাবটি পুর্নর্বিবেচনা করা হবে এবং দেশ ও পরিবেশের স্বার্থে এই জোটের দাবিগুলো মেনে নেওয়া হবে।
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের পরিচালক (ক্যাপস) ও বিএনসিএ’র আহ্ববায়ক অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
একুশে সংবাদকম/ঢ.প.জা.হা
আপনার মতামত লিখুন :