AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শেরেবাংলা নগরে আর কখনোই বসবে না বাণিজ্যমেলা


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৮:০০ পিএম, ১১ জানুয়ারি, ২০২১
শেরেবাংলা নগরে আর কখনোই বসবে না বাণিজ্যমেলা

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা এবছর জানুয়ারি মাসে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্থগিত হবার পর রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বলছে, আগামী মার্চের তারা চলতি বছরের মেলাটি করবেন এবং সেটি হবে সম্পূর্ণ নতুন একটি স্থায়ী ভেন্যুতে। শেরেবাংলা নগরে আর কখনোই বসবে না বার্ষিক এই আসরটি।

নতুন সূচি অনুযায়ী ২০২১ সালের বাণিজ্য মেলা এবং নতুন ভেন্যুর উদ্বোধন হবে ১৭ মার্চ। প্রতি বছর পয়লা জানুয়ারি থেকে মাসব্যাপী এই বাণিজ্য মেলা শুরু করার একটি রেওয়াজে পরিণত হয়েছিল। যা ১৯৯৫ সাল থেকেই হয়ে আসছিল। করোনার কারণে এর ব্যতিক্রম ঘটলো এ বছর।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, পূর্বাচলে চীনের সহায়তায় বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের নির্মাণ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এ বছরই সেখানে প্রথমবারের মতো বাণিজ্য মেলা আয়োজন করা হবে। যদিও বেশ কিছু বছর ধরেই আলাপ চলছিল, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা শেরেবাংলা নগর থেকে পূর্বাচল সরকারি আবাসন প্রকল্পের একটি স্থায়ী ভেন্যুতে এটিকে সরিয়ে নেয়া হবে।

ইপিবি সচিব মোঃ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের দিনে আমরা মেলাটির উদ্বোধন করতে চাই। এই সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেখানে মেলাটি আরও বৃহৎ পরিসরে হবে বলে আমরা আশা করছি।’

পূর্বাচলের ২০ একর জমির ওপর বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারটি নির্মিত হয়েছে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে এই কেন্দ্রটি নির্মাণ শুরু করে সম্প্রতি কাজ শেষ হয়েছে। এই মাসেই ইপিবির কেন্দ্রটির দায়িত্ব বুঝে নেয়ার কথা রয়েছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা অনুদান হিসাবে দিয়েছে চীন। আর জমি বাবদ বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ১৭০ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

প্রদর্শনী কেন্দ্রে ৭ হাজার ১৭৩ স্কয়ার মিটারের দুইটি পৃথক প্রদর্শনী হল রয়েছে। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই কেন্দ্রে সম্মেলন কক্ষ, সার্ভিস রুম, প্রেস কক্ষ, খাবারের জন্য বিশাল কক্ষ আর বাচ্চাদের খেলার জায়গা রয়েছে। এছাড়া সম্মেলন স্থলে পাঁচশ’ গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।

২০২০ সালে শেরেবাংলা নগরে যে বাণিজ্য মেলা হয়েছিল, সেখানে মোট ৫১৬টি স্টল বসেছিল। কিন্তু পূর্বাচলে সব মিলিয়ে স্টল করার ক্যাপাসিটি রয়েছে তিনশ’র কিছু বেশি। ফলে এবারের মেলায় তুলনামূলকভাবে অংশ নেয়া স্টলের সংখ্যা কম হবে।

ইফতেখার আহমেদ জানিয়েছেন যে, কোভিড পরিস্থিতির কারণে মেলায় মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। এছাড়া বিদেশি ব্যবসা ও গ্রাহকদের আকর্ষণ করার জন্য পূর্বাচলের মেলায় আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার চেষ্টা করা হবে। 

সূত্র: বিবিসি বাংলা


একুশে সংবাদ/ এ /এস

Link copied!