AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বাঁশখালীতে দেশী বিদেশী অস্ত্রসহ ১৩ দস্যূ গ্রেফতার


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮:৪৫ পিএম, ২২ জানুয়ারি, ২০২২
বাঁশখালীতে দেশী বিদেশী অস্ত্রসহ ১৩ দস্যূ গ্রেফতার

ছবি: একুশে সংবাদ

বাঁশখালী-পেকুয়া-কুতুবদিয়া এলাকার কুখ্যাত জলদস্যূ কবীর বাহিনীর প্রধান নূরুল কবীর, সেকেন্ড ইন কমান্ড মামুন ও তাদের ১৩ সহযোগী বিপুল পরিমান দেশী-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্রসহ র‌্যাবের হাতে আটক।


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরাকরের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১ নভেম্বর ২০১৮ তারিখ জলদস্যূদের আত্মসমর্পনের মাধ্যমে সুন্দরবনকে ডাকাত, জলদস্যূ ও বনদস্যূ মুক্ত ঘোষনা করেন। এরই প্রেক্ষিতে সুন্দরবন এলাকায় বসবাসকারী জেলেরা স্বস্তির সাথে সমূদ্রে মৎস্য আহরণ করে আসছে যা দেশের অর্থনৈতিক খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। 


এর মধ্যেই হঠাৎ করে পূর্বের মতো সমূদ্রে ডাকাত ও জলদস্যূদের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৮, বরিশাল কিছুদিন পূর্বে পটুয়াখালীর পাথরঘাটা এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ০৭ জন জলদস্যূ আটক করতে সক্ষম হয় এবং ০৩ জন  জলদস্যূ র‌্যাবের সাথে গুলি বিনিময়ে নিহত হয়। র‌্যাব-৮ এর ধৃত জলদস্যূদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যায় যে, তারা এখন  বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বাঁশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও চকরিয়ায় অবস্থান করে।


গত ১৪ জানুয়ারি ১৭ জনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের তথ্য র‌্যাব-৮ থেকে সরবরাহ করা হয়। মুক্তিপনের ১০ লক্ষ টাকার দাবীর প্রেক্ষিতে দুস্থ ও নিরীহ জেলেরা তাদেরকে ২ লক্ষ টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে একই ঘটনায় অপহৃত ভিকটিমদের পক্ষ থেকে র‌্যাব-৭ বরাবর একটি অফিযোগ দয়ের করে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব সদর গোয়েন্দা বিভাগ, র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-৮ ভিকটিমদের উদ্ধারের ব্যপক আভিযান পরিচালনা করে। র‌্যাবের অভিযানের প্রেক্ষিতে জলদস্যূরা র‌্যাবের অভিযান টের পেয়ে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ পেয়ে ভিকটিমদের ছেড়ে দেয়। তারা মূলত কুখ্যাত জলদস্যূ কবীর বাহিনীর প্রধানের কথা বলে মুক্তিপণ দাবি করে। 


গত ১৪ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ জলদস্যূরা কবীরের নেতৃতে ইউসুফের একটি নৌকা ভাড়া করে যার মধ্যে পেকুয়ার মগনামা ঘাট থেকে ৭ জন কুখ্যাত জলদস্যূ উঠে এবং কুতুবদিয়া থেকে আরো ৮ জন জলদস্যূ নৌকাটিতে উঠে। উক্ত ঘটনায় জলদস্যূর সংখ্যা ছিল মোট ১৫ জন। তারা পুনরায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।


এরই প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২১ জানুয়ারি ২০২২  তারিখে র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক চৌকস  দল চটগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে জলদস্যূ ১। নুরুল আফসার, পিতা- পিতা- মোঃ শফিউল আলম,  ২। নূরুল কাদের, পিতা- মোঃ শফিউল আলম, ৩। হাসান, পিতা- মোঃ মোতালেব  ও ৪। মোঃ মামুন, পিতা-জাকির হোসেন দেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্য মতে বাকী জলদস্যূদের চকরিয়া থানার ডান্ডিবাজার এলাকার কবীরের আস্তানা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে ২টি বিদেশী পিস্তল, ৬টি ওয়ানশুটার গান, ৪ টি কার্তুজ, ৫টি ক্রিজ, ১টি ছুরি, ১টি রামদা, ২টি হাসুয়া উদ্ধারপূর্বক দেশী-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্রসহ আসামী ১। মোঃ নুরুল কবির (২৯), পিতা-মোঃ হাসেম, ২। মোঃ আব্দুল হামিদ প্রকাশ কালা মিয়া (৩০), পিতা-মোঃ লেদু মিয়া, ৩। আবু বক্কর (৩১), পিতা-মৃত জালাল, ৪। মোঃ ইউসুফ (৪৬), পিতা-মৃত জামাল উদ্দিন, ৫। গিয়াস উদ্দিন (৩৭), পিতা-নন্না মিয়া, ৬। মোঃ সফিউল আলমপ্রকাশ মানিক(৩৬), পিতা-মোঃ জাফর আলম, ৭। মোঃ আব্দুল খালেক (৪৪), পিতা-মৃত মাহামুদু, ৭। মোঃ রুবেল উদ্দিন (২৭), পিতা-মৃত মোস্তাক মিয়া, ৯। মোঃ সাইফুল ইসলাম জিকু(২৮), পিতা-মৃত মুজা উদ্দিন, ১০। মোঃ সুলতান (৩৬), পিতা-মৃত আবুল হোসেন, এবং ১১। মোঃ মনজুর আলম, পিতা-মৃত চাম মিয়া দেরকে আটক করে।


এখানে উল্লেখ্য যে, গত ১৪ জানুয়ারি ২০২২  তারিখে অপহরণকৃত ১৭ জন জেলের মধ্যে ১৬ জনকে উদ্ধার করা হলেও জেলে আনোয়ার হোসেন, পিতা-আব্দুস সামাদ, সাং- আন্ডারচর, চরকাউনিয়া, নোয়াখালী সদর এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে। গ্রেফতারকৃত জলদসূদের কাছ থেকে জানা যায় যে, গত ১৬ তারিখ রাতে  অপহৃত জেলেদেরকে ব্যপক নির্যাতনের প্রক্কালে জেলে আনোয়ার অসুস্থ হয়ে পরে এবং তাকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। মারধরের এক পর্যায়ে নিরীহ জেলে আনোয়ার হোসেন ব্যাপক অসুস্থতা বোধ করলে তাকে সাগরে নিক্ষেপ করা হয়। এই আনোয়ারের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা পরবর্তীকে তদন্ত সাপেক্ষে বলা যেতে পারে। 

 উল্লেখ্য যে, এই জলদস্যূদের প্রায় প্রত্যেকের নামেই অপহরণ ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে।

আরো উল্লেখ্য যে, র‌্যাবের ব্যপক অভিযানের ফলে সুন্দরবন এলাকা জলদস্যূ মুক্ত হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বর্তমানে জলদস্যূরা দেশে দক্ষিণাঞ্চলে যথা- চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, আনোয়ারা এবং কক্সবাজার জেলার পেকুয়া, কুতুবদিয়া অঞ্চল বেছে নিলেও র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের ব্যপক অভিযানের ফলে উল্লেখিত অঞ্চল গুলোতে জলদস্যূ মুক্ত হচ্ছে।

একুশে সংবাদ/বেলাল দেওয়ান/এইচ আই  

Link copied!