AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দেওয়ায় খুন করলো সন্ত্রাসীরা


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭:৩২ পিএম, ১৭ জানুয়ারি, ২০২২
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দেওয়ায় খুন করলো সন্ত্রাসীরা

ছবি: একুশে সংবাদ

ঢাকার কেরানীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত হাত পায়ের রগ কেটে নৃশংসভাবে সায়মন হত্যাকান্ডের মূলহোতা মোঃ সুমন গ্লাস  সুমনসহ ৫ জন’কে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

 

বিকেলে ৪টায় কাওরানবাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়।


গত ১৫ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় সায়মন (২৫)’কে বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। উক্ত ঘটনায় নিহত সায়মনের ভাই মোঃ আরস আলম ঢাকা কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় ৭/৮ জন অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৪, তারিখঃ ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ধারা-৩০২/৩৪। ইতোমধ্যে সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচারে হত্যাকান্ডটি সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।


র‌্যাব বর্ণিত ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১০ এর অভিযানে গত রাত হতে অদ্য ভোর পর্যন্ত ঢাকার কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা হতে উক্ত নৃশংস হত্যাকান্ডের মূলহোতা (১) মোঃ সুমন গ্লাস সুমন (২৯), পিতা-আব্দুল হক, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা  (২) মোঃ সোহাগ লম্বু সোহাগ (২৮), পিতাঃ মোঃ মজিবর রহমান, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা (৩) শরীফ গরীব (২৯), পিতাঃ মৃত ফজল, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা (৪) জনি হর্স পাওয়ার জনি (৩২), পিতাঃ মৃত আনোয়ার হোসেন, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা  (৫) হারুন (৩২), কেরানীগঞ্জ ঢাকাদের গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় হত্যার কাজে ব্যবহৃত সুইচগিয়ার ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা হত্যাকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার তথ্য প্রদান করেছে।

 


র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত সুমন গ্লাস সুমন একটি মাদক সিন্ডিকেটের মূল হোতা। সে দীর্ঘ দিন যাবত মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। কেরানীগঞ্জসহ এর পাশর্বর্তী এলাকায় সে “গ্লাস কোম্পানী” নামে একটি মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তোলে বলে জানা যায়। এই চক্রে  সক্রিয় সদস্য সংখ্যা ১২-১৫ জন। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের কারণ সম্পর্কে জানা যায় কিছুদিন পূর্বে নিহত সায়মন বর্ণিত “গ্লাস কোম্পানী” মাদক সিন্ডিকেটটির কয়েকজন সদস্য সম্পর্কে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট তথ্য দেয়; যার প্রেক্ষিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক উক্ত মাদক সিন্ডিকেটের কয়েকজন মাদক কারবারীকে কে গ্রেফতার করা হয় বলে গ্রেফতারকৃত সুমন ও তার সহযোগীরা ভিকটিম সায়মনকে সন্দেহ করে।

 

এরই প্রেক্ষিতে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তারা হত্যাকান্ডটি সংঘটিত করে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। জানা যায় ঘটনার কয়েক দিন পূর্বে ভাগনা, বালুরচর মুক্তিরবাগ বালুর মাঠে এলাকায় হত্যাকান্ডের মূল হোতা গ্রেফতারকৃত সুমন  ও তার অন্যান্য সহযোগী গ্রেফতারকৃত সোহাগ লম্বু সোহাগ ঘটি সোহাগসহ আরো কয়েকজন হত্যাকান্ডের চুড়ান্ত পরিকল্পনা করে।


উক্ত পরিকল্পনায় ৫-৬ জন অংশগ্রহণ করে বলে গ্রেফতারকৃতরা জানায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৫ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ গ্লাস সুমন সিন্ডিকেট মুক্তিরবাগ বালুর মাঠে হত্যাকান্ডটি সংঘঠিত করে। গ্রেফতারকৃত হারুন তথ্য দিয়ে হত্যাকারীদের সহযোগিতা করে বরে জানা যায়। অতঃপর গ্রেফতারকৃত সুমন ও তার সহযোগীরা কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন মুক্তিরবাগ বালুর মাঠ এলাকায় সায়মনকে পাশর্বর্তী নির্মানাধীন বিল্ডিং থেকে জোরপূর্বক ধরে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে।

 

অতঃপর ভিকটিমকে চেপে ধরে তার হাত ও পায়ের রগ কেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দেয় এবং এলোপাতারি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে স্থান ত্যাগ করে। প্রায় ৩০ মিনিট ব্যাপী তারা এই হত্যাকান্ড চালায়। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগন কর্তৃক ভিকটিম সায়মনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। বর্ণিত হত্যাকান্ডে গ্রেফতারকৃত গ্লাস সুমনের নেতৃত্বে প্রায় ৭/৮ জন সক্রিয়ভাবে কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করে। 

 

গ্রেফতারকৃত মোঃ সুমন গ্লাস সুমন  উক্ত হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী; সে হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে হত্যাকান্ডে সংঘঠনের সময় স্বশরীরে উপস্থিত ছিল এবং নিজে ভিকটিমের রগ কাটে বলে জানা যায়। এছাড়া গ্রেফতারকৃত লম্বু সোহাগ ও শরীফ’ গরীবুল্লাহ রগ কাটায় অংশগ্রহণ করে এবং গ্রেফতাকৃত জনি ও গ্লাস সুমন পরবর্তীতে ধরে রাখে।

 

গ্রেফতারকৃত মোঃ সুমন গ্লাস  সুমন এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক ও ছিনতাই সংক্রান্ত ৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত সুমন পূর্বে গ্লাস এর দোকানে কাজ করতো এবং ভাঙ্গা গ্লাস দিয়ে মানুষকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমন ও জখম করার কারণে সে এলাকায় গ্লাাস সুমন হিসেবে পরিচিতি পায়। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত মোঃ সোহাগ লম্বু সোহাগ, জনি হর্স পাওয়ার জনি এবং হারুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
 


এদিকে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

 

 একুশে সংবাদ/বেলাল দেওয়ান/ এইচ আই.
 

Link copied!