বেলাল দেওয়ান: নরসিংদীর রায়পুরায় ধানক্ষেত থেকে গৃহবধূর চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরবর্তীতে এই ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করে ২ জনকে গ্রেফতার গ্রেফতকর করেছে সিআইডি পুলিশ।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে আজ রবিবার সকাল ১১ টায় সিআইডি সদরদপ্তর মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্ত ধর বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর নরসিংদীর রায়পুরার চর মরজালের একটি ধানক্ষেত থেকে রুনা আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূর চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার করা হয়।
ভিক্টিম রুনা আক্তার সৌদি প্রবাসী আবুল কালাম মিয়ার স্ত্রী এবং একই গ্রামের উত্তর পাড়া এলাকার মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়ার মেয়ে। নিহত রুনা আক্তার ও কালাম মিয়ার সংসারে ৩ সন্তান রয়েছে।
জানা যায় যে, ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রুনা বাবার বাড়ি থেকে মামার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে আর তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত ৮ টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার নাম্বার বন্ধ পায়। ১৩ ডিসেম্বর সকালে স্থানীয় লোকজন গ্রামের ধানক্ষেতে রুনার লাশ পড়ে থাকতে দেখে।
উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় মৃতের পিতা- মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া (৬০) কর্তৃক অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার মামলা নং- ১২, তারিখ ১৭/১২/২০২১ , ধারাঃ ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড- ১৮৬০ রুজু হয়।
উক্ত ঘটনাটি দেশজুড়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বেশ গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হলে সিআইডি ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় উক্ত হত্যার ঘটনাটি কেন এবং কিভাবে সংগঠিত হয়েছে, ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, কারো সাথে পূর্ব কোন বিরোধ ছিল কিনা ইত্যাদি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ভিকটিমের পরিবার,ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকার বিভিন্ন উৎস হতে সরেজমিনে সংগ্রহ করা হয়।
পরবর্তীতে এলআইসির একাধিক চৌকস টীম উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় সন্ধিগ্ধ আসামী মোঃ খোরশেদ মিয়াকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা এবং আব্দুর রাজ্জাক খানকে নরসিংদীর রায়পুরা এলাকা হতে গ্রেফতার করে সিআইডি পুলিশ।
একুশে সংবাদ/এইচ আই.
আপনার মতামত লিখুন :