চাকুরির দেওয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেফতার ৫

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের মুলহোতা সহ ৫ জন গ্রেফতার করেছে সিআইডি পুলিশ। আজ সকাল ১১ টায় সিআইডি সদরদপ্তরে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার মামলা নং-৪,  গত ১/১০/২১ তারিখ ধারা-৪০৬/৪১৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮ পেনাল কোড, এবং মোহাম্মদপুর থানার মামলা নং-৩২, তারিখ-৭/১০/২০২১  ধারা-১৭০/৪০৬/৪২০ পেনাল কোড এই দুটি মামলার তদন্ত সিআইডি জানতে পারে একটি প্রতারকচক্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদে নিয়োগের নিমিত্তে সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতণ কর্মকতাসহ বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে ও অফিস সহকারী পদে চাকুরী পাইয়ে দিবে বলে বেশ কয়েকজন চাকুরী প্রার্থীদের নিকট হতে প্রতারনার মাধ্যমে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেয়।

তাদের মধ্যে কয়েকজনকে সৈনিক পদে ও কয়েকজনকে ঢাকা সেনা সদর দপ্তরের অফিস সহকারী পদে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করেন। নিয়োগপত্র নিয়ে প্রার্থীরা কর্মস্থলে যোগদানের জন্য হাজির হতে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়োগপত্রগুলো ভুয়া বলে জানান। ইতোমধ্যে প্রতারক চক্র মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্তগোপন করে। ভিকটিমগন বিষয়টি সিআইডিকে অবহিত করলে বিভিন্ন প্রযুক্তির সহায়তায় সিআইডি ঢাকা মেট্রো পশ্চিম ইউনিট দীর্ঘদিন মনিটর করে এই চক্রের মূল হোতা সহ ০৫ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। 

আসামীদের নিকট হতে ভুয়া নিয়োগপত্র, মোবাইল ফোনসেট, কয়েকজন শিক্ষকের চাকুরী এমপিও ভুক্তির আবেদন সহ বিভিন্ন চাকুরীপ্রার্থীর সিভি, ছবি সহ অন্যান্য কাগজপত্র পাওয়া যায়। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদের ভুয়া নিয়োগপত্র দেয়া সহ বিভিন্ন দপ্তরে তদবির বানিজ্য করে থাকেন। এছাড়া আসামীরা বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের আদেশের কপি জাল করে থাকে বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা সংঘবদ্ধ প্রতারক ও জালিয়াত চক্রের সক্রিয় সদস্য। আসামীরা জনপ্রতি ৮/১০ লক্ষ টাকা করে এভাবে ১১ জনের নিকট হতে প্রায় এক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে এবং আরো কয়েকজন ভুক্তভুগী আমাদের সাথে যোগযোগ করেছে।

আসামীরা একেকজন ৭ম, ৮ম শ্রেণী ও এএসএস পাশ এবং ইতিপূর্বে বিভিন্ন গার্মেন্টস সহ কেউ কেউ সেনানিবাসে কনস্ট্রাকশনের কাজ করেছে। পরবর্তীতে আসামীরা বিভিন্ন প্রতারনার কৌশলে সংঘবদ্ধভাবে চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতরনা, ভুয়া জমির দালালী, বিট কয়েন বেচাকেনার নামে প্রতারনা সহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছে বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তাদের অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। 

একুেশ সংবাদ /বে/আ