AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

প্রতিবন্ধির ইজ্জতের মূল্য ১লক্ষ৫০হাজার টাকা 


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০২:৩৪ পিএম, ১০ জুন, ২০২১
প্রতিবন্ধির ইজ্জতের মূল্য ১লক্ষ৫০হাজার টাকা 

নেত্রকোনার মদনের এক প্রতিবন্ধি তরুণীর ইজ্জতের মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মাতুব্বরা আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিচার চেয়ে অবশেষে প্রতিবন্ধি তরুনী(২০) ধর্ষণ মাললা দায়ের করেছেন। মদন থানা পুলিশ ওই প্রতিবন্ধি তরুণীর ডাক্তারী পরিক্ষা (৯ জুন) বুধবার নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে সম্পন্ন করেছে।

জানা যায়, উপজেলার মাঘান গ্রামের শাজাহান মিয়ার প্রতিবন্ধি মেয়ের সাথে মাঘান ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (আন্ছু ডাক্তার) এর ছেলে মাঘান কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি নাজমুলকে (১৩ এপ্রিল) রাতে অনৈতিক কাজে আটক করে স্থানীয় লোকজন।(১৩ এপ্রিল রাত- ১৪ এপ্রিল দিন) নাজমুলকে ওই তরুণীর বােিড়ত  আটক রাখা হয়। এ ঘটনায় (১৪ এপ্রিল) বিকেলে ৯৯৯ ফোন পেয়ে মদন থানার এস আই মাসুদ জামালী ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে উদ্ধার করতে পারেননি। স্থানীয় মাতুব্বরগণ বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য ওই রাতেই মাঘান গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান(হবু) এর বাড়িতে সালিশে বসেন। পরে ওই প্রতিবন্ধির ইজ্জতের মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার্য করেন মাতুব্বরগণ। নাজমুলের পিতা রফিকুল ইসলাম জরিমানার ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের ভাই রফিকুলের হাতে দিয়ে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি চলে যায়। ওই টাকা প্রতিবন্ধি মেয়েকে না দিয়ে মাতুব্বরগণ নিজেদের পকেটে নিয়েছে। এ ঘটনায় ওই তরুণী বিচার চেয়ে ৩ জুন ওই প্রতিবন্ধি তরুনী বাদী হয়ে নাজমুল কে আসামি করে নেত্রকোনার আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।  

ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধি তরুণী বলেন, নাজমুল গভীর রাতে বসত ঘরে ঢুকে আমার সাথে জোড়পূর্বক অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। এ সময় আশপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাকে আটক করে। রাত ও পররে দিন নাজমুলকে আমার বাড়িতে আটকে রাখা হয়। পরে মাতুব্বর ও পুলিশ এসে নাজমূল কে নিয়ে যায়। আমাদেরকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সালিশে বসে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে আমাকে কিছুই না দিয়ে নিজেরা(মাতাব্বরগণ) টাকা নিয়ে চলে যায়। আমি বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেছি।

মদন থানার এস আই মাসুদ জামালী জানান, (১৪ এপ্রিল) ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে আমি ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম। এ সময় কাউকে উদ্ধার করতে না পারায় থানায় চলে আসি।  

সালিশের মাতুব্বর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর ঘটনার সত্যত্যা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করেছিলাম। জরিমানার ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায় করে কুলিয়াটি গ্রামের আমার ভাগ্নে তায়েবের কাছে রেখেছে বলে আমি শুনেছি। সালিশের আরেক মাতুব্বর রফিকুল ইসলাম জানান, জরিমানার ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আমার ভাগ্নে কুলিয়াটি গ্রামের তায়েবের কাছে রাখছি। কিন্তু সে ভুক্তভোগীর পরিবারকে টাকা না দিয়ে নিজেই আত্মসাত করেছে।

মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ হাসানুল হোসেন জানান, সিএইচসিপি নাজমুলের বিষয়টি জেনে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের হন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ফেরদৌস আলম জানান, ওই তরুণীর ডাক্তারী পরিক্ষা জন্য বুধবার(৯ জুন) নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি। মামলাটি তদন্তাধীন আছে।  

কুলিয়াটি গ্রামের তায়েব এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

 

 

 

 

একুশে সংবাদ/সাকের 
 

Link copied!