ঢাকার মতিঝিলে রিকশা পথে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারী ভ্যানিটি ব্যাগ টান দিলে ছিটকে পড়ে সুনিতা রানী দাস (৫০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৫ মে) বাসা থেকে বের হয়ে ৬টায় মতিঝিল বাস ডিপোর পাসে পৌঁছালে ছিনতাইকারী তার ব্যাগ ধরে টান দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
সুনিতা রানীর ছেলে রাজু দাস একুশে সংবাদকে বলেন, আমার মা শান্তিনগর একটি অ্যাপার্টমেন্টে ক্লিনারের কাজ করে। ভোরে গোপীবাগ ঋষিপাড়া থেকে তিনি আমার খালাতো ভাই সুজিতকে নিয়ে রিকশায় করে শান্তিনগর যাচ্ছিলেন। তখন সকাল ছয়টা বাজে। মতিঝিল এলাকায় পৌঁছালে ছিনতাইকারী প্রাইভেটকার থেকে আমার মার ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান দেয়,সাথে সাথে রিকশা থেকে ছিটকে পড়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পান তিনি। পরে আমার খালাতো ভাই খবর দিলে সকাল সাতটার দিকে আমরা ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। মাকে ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করি। দুপুর ১২টার দিকে মা আমাদের ছেড়ে চিরদিনের মতো চলে যান।
সুনিতার ভাগ্নে সুজিত দাস একুশে সংবাদকে জানান, আমি আর আমার মাসি সকালে শান্তিনগর যাচ্ছিলাম। মতিঝিল বাস ডিপোর কাছে পৌঁছালে একটি প্রাইভেটকার থেকে মাসির ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান দেয় ছিনতাইকারী। এ সময় মাসি রিকশা থেকে ছিটকে পড়ে আহত হন।পরে তাকে প্রথমে মুগদা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নেই। এরপর ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। মাসির জ্ঞান ছিল না। ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসি দুপুরে মারা যায়।
সুনিতা গোপীবাগের ঋষিপাড়া এলাকায় স্বামী ও ৩ সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। তিনি গেন্ডারিয়া থানার নারিন্দা মনির হোসেন লেনের ঋষি পাড়ার জ্ঞানিন্দ্র দাসের মেয়ে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া একুশে সংবাদকে বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট থানাকে বিষয়টি জানিয়েছি, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে।
একুশে সংবাদ/রা/ব
আপনার মতামত লিখুন :