কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকার প্রবেশপথ আমিনবাজারে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢাকা জেলা পুলিশের এই তল্লাশি কার্যক্রম চলেছে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে সকাল থেকেই যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি নেওয়া হচ্ছে। গণপরিবহন, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন গাড়িতে থাকা যাত্রীদের ব্যাগপত্র ও মুঠোফোন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া যাত্রীদের গন্তব্য ও আগমনের স্থান সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আগামী ১৩ নভেম্বর ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। এই কর্মসূচি ঘিরে নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে এই চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের একপাশে ব্যারিকেড বসিয়ে তল্লাশি চলায় যান চলাচলে কিছুটা ধীরগতি দেখা দিয়েছে। পুলিশের কয়েকজন সদস্য যাত্রীদের মুঠোফোনের গ্যালারি ঘেঁটে অনুসন্ধান করতে দেখা গেছে।
চেকপোস্টে উপস্থিত সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল মিয়া বলেন, “নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি সংগঠনের লকডাউন কর্মসূচিকে ঘিরে আমিনবাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আমাদের তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে আমাদের টহল কার্যক্রমও বাড়ানো হয়েছে এবং এটি ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ব্যাগসহ অন্যান্য মালামাল তল্লাশি করা হচ্ছে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে।”
চেকপোস্টে যাত্রীদের মোবাইল তল্লাশির পাশাপাশি গ্যালারি কেন খোঁজা হচ্ছে, এমন প্রশ্নে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, “অনেকেই আত্মগোপনে থাকে। আবার কেউ নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে। আমরা মোবাইল, ব্যাগ বা অন্যান্য জায়গা পরীক্ষা করে দেখি নাশকতার কোনো উপকরণ আছে কি না।”
যাত্রীদের মুঠোফোন তল্লাশি একজন নাগরিকের প্রাইভেসির লঙ্ঘন, বিষয়টি উল্লেখ করে এটি কেন করা হচ্ছে জানতে চাইলে কর্মকর্তা বলেন, “যদি পারমিশন বা অনাপত্তি থাকে, তবেই এটি করা হয়।”
তবে চেকপোস্টে সরেজমিনে দেখা গেছে, কোনো পুলিশ কর্মকর্তা যাত্রীদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে মুঠোফোন তল্লাশি করছেন না।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

