সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার আবুল কালাম ও শাহিদা খাতুন দম্পতির একমাত্র কন্যা ফাহমিদা আক্তার লাভলী (২০) নিখোঁজ হওয়ার ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও তার কোনো খোঁজ মেলেনি। মেয়েটি সিলেটের শাহী ইদগাহ থেকে নিখোঁজ হয়েছে। পরিবার ও স্বজনরা দীর্ঘদিন ধরে তার সন্ধান চাইছেন, কিন্তু এখনও অন্ধকারেই রয়ে গেছে লাভলীর অবস্থান।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে পড়াশোনার কথা বলে লাভলীকে সিলেটের শাহী ইদগাহ এলাকার সৈয়দপুর হাউজে পীর সৈয়দ মবনু`র কাছে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি গৃহস্থালির কাজ করতেন।
লাভলীর মা শাহিদা খাতুন জানান, গত ৮ জুন পীর সাহেব তাকে ফোনে জানান, তার মেয়ে পাওয়া যাচ্ছে না। দুই দিনের মধ্যে তিনি সিলেটে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর পীর সাহেব একটি অভিযোগ লিখে তাকে স্বাক্ষর করতে বলেন, যা থানায় জমা দেওয়া হয়। এরপর তিনি টানা আট দিন পীর সাহেবের বাড়িতে অবস্থান করেন, কিন্তু কোনো খোঁজ পাননি। পরে পীর সাহেব আশ্বাস দেন একুশ দিনের মধ্যে মেয়েটি ফিরে আসবে। কিন্তু এখনও কোনো খোঁজ নেই।
লাভলীর মা বলেন, “আমার মেয়েটি বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে—তা জানতেও পারছি না। প্রশাসনের কাছে দ্রুত আমার মেয়ের সন্ধান এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।”
স্থানীয় বাসিন্দা মো. কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি রহস্যজনক এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হলে হয়তো সত্য উদঘাটিত হবে।
পীর সৈয়দ মবনু বলেন, “আমার এখানে আরও অনেক মেয়ে থাকে। এই মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক। একজনের সঙ্গে চলে যাওয়ার সময়, সিসিটিভি ফুটেজ আছে। আমার করার কিছু নেই।” সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেন।
লাভলীর নিখোঁজের ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের মাতম চলছে। পরিবার ও স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন, নিখোঁজ লাভলীর সন্ধান মেলে এবং রহস্য উদঘাটিত হয়।
সিলেট বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনটি রিসিভ না করায় পুলিশের মন্তব্য নেওয়া যায়নি।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

