জামালপুরের মাদারগঞ্জে ঝিনাই নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে নিখোঁজের দুই দিন পর বৈশাখী (১২) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২ নভেম্বর) সকালে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার ভাটিতে মরদেহটি ভেসে ওঠে। স্থানীয়রা তা উদ্ধার করেন। এ নিয়ে নদীতে ডুবে মৃত শিশুর সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচে।
নিহত বৈশাখী শেরপুরের নকলা উপজেলার টাংগালিয়া এলাকার হোসেন আলীর মেয়ে।
অন্য নিহতরা হলেন— মাদারগঞ্জের চর ভাটিয়ানী এলাকার প্রবাসী দুদু মিয়ার সন্তান সহোদর আবু হাসান (৮) ও মরিয়ম (১২), কাজিয়াবাড়ীর আজাদের মেয়ে কুলসুম এবং সরিষাবাড়ীর বাউশী এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে সাইরা আক্তার (৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার নানা বাড়ি চর ভাটিয়ানীতে বেড়াতে আসে বৈশাখী। পরদিন শুক্রবার বিকেলে অন্য শিশুদের সঙ্গে ঝিনাই নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে যায় তারা।
ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। শনিবার সকালে উদ্ধার হয় কুলসুমের মরদেহ। এরপর নিখোঁজ ছিল বৈশাখী। রবিবার সকালে স্থানীয়দের চোখে পড়ে তার মরদেহ।
সিধুলী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ওয়াহেদ আলী নান্নু জানান, সকালে স্থানীয়রা বৈশাখীর মরদেহ নদীতে ভেসে থাকতে দেখে উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে ঝিনাই নদীতে গোসল করতে নেমেছিল ছয়জন শিশু। এর মধ্যে ইয়াসিন নামে এক শিশু সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাকি পাঁচজন পানিতে ডুবে মারা যায়। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

