ভালুকা উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে এক নীরব অথচ শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছেন রুহুল আমিন মাসুদ। সততা, মেধা ও নিবেদনের সমন্বয়ে গড়া তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা আজ তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রশংসিত। তিনি জননেতা ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও আস্থাভাজন হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভালুকা বিএনপির রাজনীতিকে সংগঠিত, সক্রিয় ও ঐক্যবদ্ধ রাখতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত ভালুকা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে পুনর্বহাল করেছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির অনুমোদনক্রমে এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চুর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে তিনি পুনরায় দলের প্রাথমিক সদস্যপদ লাভ করেছেন এবং সংগঠনের সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।
এই ঘোষণার পর ভালুকা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে আনন্দের জোয়ার। তৃণমূল থেকে শুরু করে উপজেলা ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলছেন, দলের এই সিদ্ধান্তে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে এবং সংগঠনে ঐক্য ফিরেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাচ্চুর পুনর্বহালের পর ভালুকা বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও গতিশীল রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন রুহুল আমিন মাসুদ। তিনি ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ভালুকা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনকে সক্রিয় রাখছেন।
বিশেষ করে বাচ্চুর বহিষ্কারের সময়, যখন সংগঠনের ভেতরে বিভক্তি ও হতাশা তৈরি হয়েছিল, তখন স্থির নেতৃত্ব ও সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন মাসুদ। তাঁর ক্লিন ইমেজ, বিনয়ী স্বভাব এবং কর্মীদের প্রতি মানবিক আচরণ তাঁকে দলের প্রতিটি স্তরে জনপ্রিয় ও সম্মানিত করেছে।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে ভালুকা উপজেলা বিএনপিকে পুনরায় সংগঠিত ও গতিশীল করতে মাসুদের ভূমিকা ছিল অনন্য। তাঁর নেতৃত্বে ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু গ্রুপ ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে ফিরে আসে।
একজন স্থানীয় প্রবীণ নেতা বলেন, “রুহুল আমিন মাসুদ আমাদের সংগঠনের হৃদস্পন্দন। তিনি লোভ-লালসা বা ব্যক্তিস্বার্থের রাজনীতি করেন না। তাঁর মতো নেতা থাকলে বিএনপি আবারও মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেবে।”
তৃণমূলের কর্মীরাও এক কণ্ঠে বলছেন, “রুহুল ভাই কখনো নিজেকে নেতা ভাবেন না। তিনি আমাদের বন্ধু, অভিভাবক ও অনুপ্রেরণার উৎস।”
দলীয় জীবনে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আজ পর্যন্ত শোনা যায়নি। বরং দক্ষিণ জেলা থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত তাঁর সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের প্রশংসা হচ্ছে সর্বত্র।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, রুহুল আমিন মাসুদের নেতৃত্বে ভালুকা উপজেলা বিএনপি আগামী দিনে আরও ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কারণ তিনি নেতৃত্বকে দেখেন দায়িত্ব হিসেবে, অহংকার হিসেবে নয়।
আজ ভালুকা বিএনপির রাজনীতিতে এক নীরব পরিবর্তন ঘটছে যেখানে আদর্শ, সততা ও মানবিকতা ফিরে আসছে। আর এই পরিবর্তনের নেপথ্যে রয়েছেন রুহুল আমিন মাসুদ একজন নীতিনিষ্ঠ, ক্লিন ইমেজের রাজনীতিক, যিনি প্রমাণ করেছেন নেতৃত্ব মানে শুধু পদ নয়; এটি মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা, আস্থা ও ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

