কেশবপুর প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নবগঠিত কমিটিকে অবৈধ দাবি করে তা বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে সাধারণ শিক্ষকরা।শুক্রবার( ১৯ জুলাই ) সকালে কেশবপুর পৌর শহরের পৌরসভা সড়কে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৯ জুন ২০২৫ তারিখে কোনো ধরনের নির্বাচন ছাড়াই, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে মোঃ শাহীন হোসেনকে সভাপতি ও মোঃ হাবিবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শিক্ষকরা বলেন, এ কমিটি সম্পূর্ণ অনৈতিক, অনির্বাচিত এবং গঠনতন্ত্রবিরোধী।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাঁকার্বশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হযরত আলী। তিনি বলেন, কেশবপুর শিক্ষক কর্মচারী সমিতির আগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৩ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে। এরপর সমিতির বিধান অনুযায়ী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের কথা থাকলেও তা অনুসরণ করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত শাহীন হোসেন সাধারণ শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন ও অপমানজনক ভাষায় কথা বলেন, যা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য যিনি নিয়োগ পেয়েছেন, তার কোনো সংগঠনিক বা গঠনতান্ত্রিক যোগ্যতা নেই বলেও উল্লেখ করা হয়।
শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, সমিতির গঠনতন্ত্রে ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির কথা বলা হলেও বর্তমান কমিটি গঠন করা হয়েছে ৫৩ সদস্য নিয়ে। এছাড়া, নবগঠিত কমিটির বেশিরভাগ সদস্য ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অনুসারী এবং পূর্বে ভোট অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ তোলেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, এ কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন সময় সাধারণ শিক্ষকদের মোবাইলে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এছাড়া সমিতির সভাপতি দপ্তরে তালা লাগিয়ে রাখার অভিযোগও তোলা হয়, যা শিক্ষকদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে।
শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারী সমিতিতে বর্তমানে মোট ৯৬৭ জন সদস্য রয়েছে। তারা এই অনির্বাচিত ও অগণতান্ত্রিক কমিটির অবসান ঘটিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—আমজাদ হোসেন, হযরত আলী, আব্দুস সাত্তার, আবুল কাশেম, আমির হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, খালিদ হাসান দীপু, আব্দুল্লাহ কাজল, কবির হোসেনসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষক।
একুশে সংবাদ/য.প্র/এ.জে