AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ভালোবাসার টানে সিরাজগঞ্জে চীনা যুবক


Ekushey Sangbad
মো. দিল, সিরাজগঞ্জ
০৪:৩৮ পিএম, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
ভালোবাসার টানে সিরাজগঞ্জে চীনা যুবক

গার্মেন্টসের বায়ারের কাজে বন্ধুদের সঙ্গে চীন থেকে বাংলাদেশের গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার একটি পোশাক কারখানায় ঘুরতে আসেন চেংনাং নামে চীনা এক যুবক। 

কাজের সুবাদে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার অন্তরা নামে এক তরুণীর সঙ্গে দেখা হয় এবং তার প্রেমে পড়ে যান। এরপর দু-জনের মধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে চীনা যুবক ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর প্রেমিকা অন্তরাকে বিয়ে করেন।

ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর নতুন ক‌রে তার নাম রাখা হ‌য়ে‌ছে সালমান স্বাধীন। বর্তমানে দুজন সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পৌর এলাকার বিয়ারা গ্রামে অন্তরার বাড়িতে বসবাস করছেন। ভিসা প্রসেসিং শেষে স্বামী-স্ত্রী দু-জনে চীনের হুনান শহরে চলে যাবেন। দুইদিন আগে নব-দম্পত্তি গ্রামে আসলে অন্তরার স্বজনসহ দূর-দূরান্তের মানুষ এসে বিদেশি জামাইকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।

অন্তরা খাতুন বলেন, গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করা অবস্থায় চীন থেকে কিছু বিদেশি বায়ারের সঙ্গে চেংনাং কারখানায় আসেন। তখন তাকে দেখে চেংনাংয়ের ভালো লাগে। এরপর দুজনের ফেসবুকে কথাবার্তা এবং মন দেওয়া-নেয়া হয়। তিন মাস প্রেমের পর পরিবারের সম্মতিতে চেংনাং ইসলাম ধর্ম করে এবং সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখে দুজনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। 

তিনি আরো বলেন, গত ৫ মাস আগে তার পূর্বের স্বামীর সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়েছে। ৯ বছর বয়সী একটি মেয়েও রয়েছে তার। তবে এসব বিষয় খুব সহজভাবেই সালমান স্বাধীন ওরফে চেংনাং মেনে নিয়েছেন। 

চীনের হুনান শহরের যুবক চেং নাং বলেন, অন্তরাকে প্রথম দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগে। পরে তার সঙ্গে আমি যোগাযোগের মাধ্যম খুঁজতে থাকি। একপর্যায়ে অন্তরার ফেসবুক আইডি সংগ্রহ করে তাকে মেসেজ পাঠাই। সেই থেকে আমাদের সম্পর্কের শুরু। এরপর প্রেম এবং বিয়ে। অন্তরার অতীত নিয়ে আমার কোনো ভাবনা নেই। এখন দু-জন সারাজীবন একসঙ্গে থাকব এটাই আমাদের পরিকল্পনা। এরমধ্যে ভিসার আবেদন করেছি। ভিসা পেলেই দু-জন চীনে চলে যাবে। 

অন্তরার বাবা আব্দুর রশিদ ও মা রাহেলা খাতুন জানান, প্রথমে একটু চিন্তা হয়েছিল। ভিনদেশি একজনের সঙ্গে আমাদের মেয়ে কিভাবে সংসার করবে। তবে ধীরে ধীরে একে অপরকে জানতে ও বুঝতে শিখেছে। তাদের মধ্যে একটি সুন্দর বন্ধনের সৃষ্টি হয়েছে। সেজন্য আমরাও তাকে মেয়ের জামাতা হিসেবে মেনে নিয়েছি। অভিভাবক হিসেবে আমরা খুশি। দোয়া করি তারা যেন সারাজীবন সুখে থাকে। 

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!