মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মেয়াদোত্তীর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে অনতিবিলম্বে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন অধিকার বঞ্চিত শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যবৃন্দ। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় শ্রীমঙ্গল শহরের চৌমুহনা চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন হিমু।
ব্যবসায়ী মো. ফখরুল আহমদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহিন আহমেদ, আব্দুল হান্নান ঢালি, মো. শাহাদাত হোসেন, লিটন আহমেদ, হেলাল উদ্দিন ভুঁইয়া, নাদির হোসেন, মুহিত চৌধুরী প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৭ সালের ২৪ মে ঐতিহ্যবাহী শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তিন বছরের কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ
২০২০ সালের ২৪ মে শেষ হয়েছে। কিন্তু অদ্যাবধি সমিতির নির্বাচনের কোনো তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। বিভিন্ন টালবাহানায় ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন স্থগিত করে সাধারণ ব্যবসায়ীদের ভোটাধিকারসহ নানা অধিকার থেকে বছরের পর বছর বঞ্চিত করা হচ্ছে। গত চার বছর তিন মাসের বেশি সময় ধরে শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। এতো বছর ধরে কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন না দিয়ে সমিতির গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরা গঠনতন্ত্রকে তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছেমতো সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করে স্বৈরাচারী চরিত্রের মনোভাব প্রকাশ করে যাচ্ছেন। যা সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভের জন্ম দিচ্ছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভুত্থানের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেশে নানা ধরণের সংস্কার কাজ শুরু করেছে।
সম্প্রতি অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়কালে বলেছেন, প্রয়োজনে ব্যবসায়ী সমিতি সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে সংস্কার করে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিতে হবে। তাঁর এ বক্তব্যকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হলো ছাত্রজনতার বিপ্লবের পর দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জন করলেও আমাদের ব্যবসায়ী সমিতির স্বাধীনতা এখনও একটি স্বৈরাচারী আদর্শের অনুসারী মহলের কুক্ষিগত হয়ে আছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
আজকের মানববন্ধনের আগে আমরা নির্বাচনের দাবিতে একাধিকবার ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেছি, উপজেলা চেয়ারম্যান/প্রশাসক, ইউএনও ও পৌর প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি দিয়েছি। সর্বশেষ ব্যবসায়ীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেছি। কিন্তু ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃদ্বে থাকা ব্যক্তিরা সমিতির গঠনতন্ত্রকে তোয়াক্কা করেননি এমনকি আমাদের সাধারণ ব্যবসায়ীদের ন্যায়সঙ্গত দাবিকে উপেক্ষা করে চলেছেন।
চার বছরেরও বেশি সময় ধরে নেতারা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন। আর আমরা বঞ্চিত হতে চাই না। আমরা আগামী নভেম্বর মাসে সাধারণ সভা আয়োজন করে সর্বসম্মতিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করে অনতিবিলম্বে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ প্রদান করার দাবি জানাচ্ছি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :