মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা সেতুর ৩ নম্বর খুঁটির নিচে ট্রলারডুবির ঘটনায় লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস (৬০) নামে এক বাদ্যকর নিখোঁজ রয়েছেন।বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে পদ্মার চরে ঘাস কেটে ফেরত আসার সময় তীব্র স্রোতে ঘাস ভর্তি ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় নিখোঁজ লক্ষ্মণের সঙ্গে আরো ৪ জন ছিলেন। পরে এক জেলের সহযোগিতায় বাকি চারজন মন্নাফ সৈয়ল, ইসমাঈল শেখ, ইউসুফ হাওলাদার ও ট্রলারচালক মোকসান প্রাণে বেঁচে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী মন্নাফ সৈয়ল জানান, সকাল ৯টার দিকে আমরা ৫ জন মিলে পদ্মার চরে ঘাস কাটতে আসি। ঘাস কাটা শেষে দুপুরে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হই। পদ্মা সেতুর ৩-৪ নম্বর খুঁটির কাছে গেলে অনেক স্রোতে ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় আমরা ৪ জন বেঁচে আসি। তবে লক্ষ্মণকে আমরা উঠাতে পারিনি। ট্রলারও স্রোতের টানে ভেসে যায়।
উদ্ধারকারী জেলে হবি হাওলাদার জানান, আমি পদ্মা নদীতে মাছ ধরি। দুপুরের আজানের পরে খাবার খেতে যাওয়ার সময় দূর থেকে দেখি ৪-৫ জনসহ একটি ট্রলার ডুবে আছে। পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ জনকে উদ্ধার করি। ট্রলারসহ আরেকজনকে উদ্ধার করতে পারিনি।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সুমন আলী জানন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এসে প্রাথমিকভাবে ঘটনা জানি। পদ্মায় প্রবল স্রোতে ট্রলার ও নিখোঁজ লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস তলিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, পদ্মায় প্রবল স্রোত থাকায় যেহেতু ট্রলার ও নিখোঁজ ব্যক্তি ভেসে গিয়েছে, তাই ডুবুরিদলকে পদ্মায় নামানো হয়নি। তবে নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড পদ্মায় থাকা জেলেদের ব্রিফিং দিয়ে দিয়েছে। এবং নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের টহলদল রয়েছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :