নোয়াখালী জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে জেলের জালে প্রায় ৩ কেজি ওজনের একটি ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি মাছঘাটে আনলে সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে ৮ হাজার ৭০০ টাকায় কিনে নেন নিজাম বেপারী নামে এক ব্যবসায়ী।
রোববার (১৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার চর ইশ্বর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাতান খাল বউ বাজার মাছ ঘাটে ইলিশটি নিলামে বিক্রি করা হয়।
জানা যায়, ভোলার দৌলত খা এলাকার মফিজ মাঝি মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এই ইলিশ মাছটি পেয়েছেন। তারপর তিনি চর ইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদের মৎস্য আড়তে নিয়ে আসেন। আবদুল হালিম আজাদ নিলামের ডাক দিলে মাছটি ৮ হাজার ৭০০ টাকায় কিনে নেন নিজাম বেপারী। তারপর মাছটির সাথে ছবি তুলতে স্থানীয় ও দর্শনার্থীরা ভিড় জমান।
জেলে মফিজ মাঝি বলেন, অল্প হলেও এখন জেলেদের জালে বড় আকারের ইলিশ ধরা পড়ে। তবে নদীতে ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। রোববার সকালে আমি নদীতে জাল ফেলেছি। দুপুরে জাল উঠিয়েছি। এতে অন্যান্য মাছের সাথে বড় একটা ইলিশ ধরা পড়ে। পরে বাতান খাল বউ বাজার মাছঘাটে নিয়ে আড়তে মাছটির ডাক ওঠানো হয়। আলহামদুলিল্লাহ, ভালো দাম পেয়েছি।
চর ইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদ বলেন, সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকায় নদীতে মাছ ধরছেন জেলেরা। মেঘনা নদীতে এখন ভরা মওসুম থাকলেও ইলিশ তেমন একটা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে গত কয়েকদিন কেজি ওজনের ইলিশ বেশি আসছে। মফিজ মাঝির জালে ধরা পড়া প্রায় তিন কেজি ওজনের ইলিশ চমক ছিল। এতো বড় ইলিশ সচরাচর পাওয়া যায় না। বড় ইলিশ হওয়ায় দাম বেশি হয়েছে। এমনিতেও নদীতে ইলিশ কম পাওয়ায় দাম বেশি।
হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফাহাদ হাসান বলেন, ইদানিং আমরা বড় বড় ইলিশ পাওয়ার খবর পাচ্ছি। এটা জেলে, ব্যবসায়ী, আড়তদারসহ সবার জন্য খুশির খবর। মূলত সরকার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে ইলিশের প্রজনন মৌসুম নিরাপদ করেছে, পাশপাশি মাছের জন্য অভয়াশ্রম তৈরি করা এবং সাগরে নির্দিষ্ট সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে। ফলে এখন মাছ যেমন বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে, তেমনি মাছের বংশবৃদ্ধি এবং উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীতে মাছ কম পেলেও সামনে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে মাছ বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
একুশে সংবাদ/ঢা.পো/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :