সিলেট বিভাগ জুড়ে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢল সিলেট জেলায় চতুর্থ দফা বন্যার আশঙ্কা তৈরি করেছে। ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জ তৃতীয় দফা বন্যার কবলে পড়েছে। ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতিরও অবনতির আশঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এদিকের আষাঢ় মাসের শেষ হয়েছে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও অতিরিক্ত পরিমান বৃষ্টি হচ্ছে। শুধু সিলেট নয়, দেশজুড়েই মুষলধারার বৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকায় ৬ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৩০ মিলিমিটার। এতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ডুবে গেছে। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, এটা চলতি বর্ষা মৌসুমের স্বাভাবিক অবস্থায় রাজধানীতে এক দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টি।
আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টায় সিলেটে ৭১ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিলো। অন্যদিকে ভারতের মেঘালয়েও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় আছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। যার কারণে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির ফলে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলার নদ-নদী গুলোতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। চতুর্থ ধাপে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন সিলেটের বাসিন্দারা। তৃতীয় দফার বন্যা এখনো শেষ হয়নি। লাখ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দী। বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে আছে দুই মাস ধরে। এর মাঝে ফের ভারী বৃষ্টি ও ঢল ভাবিয়ে তুলেছে বার বার দুর্যোগ কবলিত সিলেটের মানুষকে।
এদিকে বৃষ্টির প্রভাব শুধু বন্যায় নয়, প্রভাব পড়েছে জনজীবনেও। বাজার, নিত্যপণ্য, যানবাহনের ভাড়াসহ সব কিছুতে বৃষ্টির প্রভাব। যেন বিষিয়ে উঠেছে মানুষের জীবন। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবারই (১১ জুলাই) তাদের সন্ধ্যার পূর্বাভাসে বলেছিলো যে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও আবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে, বৃষ্টির সাথে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ও বজ্রপাতের কথাও বলা হয়েছিলো।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :