শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে পাগাড়ী নদী ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পার ভেঙ্গে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৬ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। শতাধিক পরিবার পানি বন্দি।
গত কয়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
গত রোববার থেকে নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভারি বর্ষণ শুরু হয়। ৪ দিনের টানা ভারি বর্ষণ ও উজানে ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্য থেকে বয়ে আসা ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীতে প্রবল স্রোতে পাহাড়ি ঢল নামে। নদীতীর উপচে প্রবল স্রোতে ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর তীরভেঙ্গে ঘর-বাড়িতে ঢলের পানি ঢুকছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ পাঠক আলমগীর হোসেন ও মুকুল মিয়া জানান মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে চেল্লাখালী নদীর বারোমারী বাজার পয়েন্টে ৩১৪ সেন্টিমিটার ও ভোগাই নদীর নালিতাবাড়ী পয়েন্টে ৪৭ সেন্টিমিটার বিপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। ।
প্রবলস্রোতে ভোগাই নদীর খালভাঙা, গড়কান্দা নতুন বাসস্ট্যান্ড, গোবিন্দনগর এবং চেল্লাখালী নদীর সন্ন্যাসীভিটা ও গোল্লারপাড় এলাকায় নদীতীর ভেঙ্গে যায়। এতে ওই এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও পানি কমে যাচ্ছে। যাদের ত্রাণ বা অন্য কোন কিছুর প্রয়োজন আমরা তাৎক্ষণিক ব্যাবস্থা নিচ্ছি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :